- Sri Sathya Sai Balvikas - https://sssbalvikas.in/bn/ -

রত্নমালা

Print Friendly, PDF & Email [1]
[vc_row][vc_column el_class=”bn-hind-siliguri”][vc_column_text el_class=”bn-hind-siliguri”]
  1. ফলের ভারে গাছ ঝুঁকে পড়ে, বাষ্পকণা দ্বারা সম্পৃক্ত মেঘ অনেক নীচে ভেসে বেড়ায়। মহাত্মারা কখনো পার্থিব সম্পদ দ্বারা নিজেদের ভারাক্রান্ত করেন না। পরোপকারী ব্যক্তিদের এটি একটি স্বাভাবিক গুণ ।
  2. মানুষ তার নিজের নিজের কর্ম অনুসারে ফল পেয়ে থাকেন। জগদীশ্বরের জন্যেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। ভগবান বিষ্ণু বামন অবতার রূপে মহাবলীকে বন্দী করেছিলেন। কৃষ্ণ অবতারকে মা যশোদা তাই পাথরের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন।
  3. সহৃদয় বাক্য ব্যবহারে কোন অর্থ ব্যয় হয় না। তা জিহ্বা অথবা ওষ্ঠে কোন প্রকার ক্ষত সৃষ্টি করে না। আর্থিক মূল্য না থাকলেও দয়াদ্র শব্দ অনেক মহত্ত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদনের সহায়ক হয়। এর দ্বারা অন্যের স্বভাব পরিবর্তিত হয়। এরূপ সম্ভাষণ মানুষের মনে সুন্দর প্রভাব সৃষ্টি করে।
  4. অন্যের মধ্যে আমরা যে দোষ-ত্রুটি দেখি তা আর কিছুই নয় আমাদের নিজেদের দোষ ত্রুটির প্রতিচ্ছবি মাত্র। যিনি সত্যের পূজারী তার কাছে পৃথিবীর কোন কিছুই খারাপ অথবা পাপ পূর্ণ নয়। পবিত্র এবং মহৎ প্রেম দ্বারা পূর্ণ হৃদয় কারো মধ্যেই কোন ত্রুটি দেখতে পায়না। প্রেম যখন সক্রিয় তখন নিন্দার কোন স্থান নেই।
  5. বেশি কথা বললে কেউ বিজ্ঞ হয়ে যায় না। ধৈর্যবান প্রেমময়, ঘৃণারহিত ব্যক্তি জ্ঞানী রূপে পরিচিত হন।
  6. প্রকৃত অর্থে মানুষের কর্তব্য কি? প্রথম- শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞ চিত্তে বাবা-মায়ের সেবা করা ।দ্বিতীয় –“সত্যম বদ ধর্মম চর” সত্য কথা বলা এবং ধর্ম পথে চলা। তৃতীয়- যখনই সময় পাওয়া যায় ঈশ্বরের রূপ ও নাম স্মরণ করা। চতুর্থ- অপরের নিন্দা না করা অথবা অন্যের দোষ ত্রুটি আবিষ্কার না করা এবং সর্বশেষ- কারোকে কোন ভাবে আঘাত না করা।
  7. কেউ এতটা সমৃদ্ধ নয় যে তার কারো সাহায্যের প্রয়োজন হবে না । আবার কেউ এতটা অসহায় নয় যে সে কারোকে সাহায্য করতে পারবেনা ।একে অপরকে সাহায্য করাই আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি।
  8. বাচনে উদারতা প্রত্যয়, চিন্তায় ঔদার্য নিগূড়তা এবং দানে অনুকম্পা প্রেমের জনক।
  9. প্রার্থনা করতে কখনো যেন ভুল না হয়। আন্তরিক প্রার্থনা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবেগ, নতুন নতুন অর্থ বহন করে যা নতুন সাহস এবং উদ্যমের সঞ্চার করে।
  10. প্রার্থনার ছন্দ, সু্‌র, ভাষা, সংখ্যা, দৈর্ঘ্য কোনটাই ঈশ্বরের বিচার্য বিষয় নয়। তিনি শুধু আন্তরিকতাকেই প্রাধান্য দেন।
  11. যিনি ছোট-বড় সকল বস্তুকে ভালোবাসেন তিনিই সর্বোৎকৃষ্ট প্রার্থনা করতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা সকল সৃষ্টিকে সমান ভাবে ভালবাসেন।
  12. প্রার্থনা কি উচ্চকণ্ঠে করা উচিত ?
    যেমন ভাবে খুশি প্রার্থনা কর। যিনি একটি পিঁপড়ের পদশব্দও শুনতে পান তিনি নিশ্চয়ই তোমার প্রার্থনা শুনতে পাবেন।
  13. প্রার্থনার কি কোনো কার্যকারিতা আছে? নিশ্চয়ই আছে। যখন মন এবং বাক্‌ এক হয়ে প্রার্থনা করে তখন তা কার্যকরী হয়। যিনি মুখে বলেন প্রভু সবকিছু তোমার আর মনে ভাবেন সবই আমার তার প্রার্থনায় ঈশ্বর সাড়া দেন না।
  14. প্রার্থনা হৃদয় থেকে উৎসারিত হওয়া উচিত মস্তিষ্ক থেকে নয় কারণ হৃদয় হলো ঈশ্বরের বাসস্থান আর মস্তিষ্ক হলো নানা মতবাদ এবং অবিশ্বাসের আবাসস্থল।
  15. প্রার্থনা জীবনকে রক্ষা করে। প্রার্থনা বিনা জীবন দুর্বিষহ। প্রকাশ্যে অথবা একান্তে আমরা অনেক রকম সমস্যার মধ্যে পড়ি যা আমাদের গভীর দুঃখ ছাড়া আর কিছুই দেয় না। এই অবস্থা থেকে একমাত্র প্রার্থনাই পারে মানুষকে মুক্ত করতে।
  16. মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময়, যে বিষয়ে তুমি মতানৈক্য পোষণ করো না তা নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো। যে বিষয়ে তুমি মতৈক্য পোষণ করো সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করোএবং সেই বিষয়ের উপর গুরুত্ব দাও।
  17. মাটিতে পড়ে যাওয়া সুপক্ক ফল নিজেকে নষ্ট করে না। সে ধরিত্রী মাতাকে তার বীজটি ফিরিয়ে দেয় যাতে সে পুনরায় একটি সুপক্ক ফল রূপে নিজেকে অপরের সেবায় উৎসর্গ করতে পারে। একজন ভালো মানুষ ঈশ্বরের দান এবং পথ প্রদর্শক।
  18. প্রফুল্ল চিন্তাই হ’ল শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক যা দেহকে ক্লেশ মুক্ত করে।
  19. জগত হল আয়না। মানুষকে সে তার নিজের মুখের প্রতিবিম্বই দেখায়। তুমি ভ্রুকুটি করলে আয়না তোমার দিকে ভ্রুকুটি করবে। তুমি হাসলে আয়নায় তোমার একজন প্রফুল্ল সঙ্গীকে দেখতে পাবে। সুতরাং যুবসমাজকে তাদের নিজের পছন্দ বেছে নিতে হবে।
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]