কথা
ওম্ ঈশাবাস্যমিদং সর্বং যৎকিঞ্চ জগত্যাং জগৎ
তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথাঃ মা গৃধঃ কস্যস্বিদ্ধনম্।
অর্থ
এই বিশাল জগতে আমরা যা কিছু দেখি তা ভগবান দ্বারা সম্পূর্ণ পরিব্যাপ্ত। সেজন্য ‘আমি’ ও ‘আমার’ এই ভাব – ত্যাগ করে ভগবান যা তোমাকে দিয়েছেন কৃতজ্ঞচিত্তে তা গ্রহণ কর এবং তার ব্যবহার কর। (তোমার সহচরদের সঙ্গে ভাগ করে নাও এবং নৈবেদ্য রূপে ভগবান কে অর্পণ কর। লোভ ও স্বার্থপরতার সকল চিন্তাকে বর্জন কর( মনে রেখো সকল জিনিস এর প্রকৃত অধিকারী একমাত্র ভগবান)।
উপনিষদের এই শ্লোক আমাদের শিক্ষা দেয় যে – ঈশ্বরের সর্বব্যাপীত্ব এবং সর্বজীবে ও সর্ব বস্তুতে তার অবস্থিতি আমাদের সর্বদা অনুভব করা উচিত এবং লোভ ও স্বার্থপরতা বর্জন করে সকলের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাস করা এবং সর্বব্যাপী সত্য ও সর্বজীবে ও সর্ব বস্তুতে বিরাজিত প্রকৃত সত্তা সেই ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পনের মনোভাব পোষণ করা উচিত।
Significance of the teaching
“মহাত্মা গান্ধী এই শ্লোক সম্বন্ধে বলেছেন,”যদি সব উপনিষদগুলি এবং অন্যান্য শাস্ত্রগ্রন্থ গুলি দৈবাৎ ভষ্মিভূত হয় এবং উপরোক্ত অর্থাৎ ঈশোপনিষদের প্রথম শ্লোক যদি হিন্দুদের স্মৃতিতে সম্পূর্ণ রয়ে যায়, তবে হিন্দুধর্ম চিরদিন বেঁচে থাকবে।
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]