আকাশ
আকাশ
প্রিয় মিষ্টি ছেলেমেয়েরা!
চোখ বন্ধ করে কল্পনা কর। তোমাদের কি কখনও নিজেদের আকাশের মতন বড় মনে হয়? সত্যিই তোমরা আকাশের চেয়েও বড় ও উজ্জ্বল। তোমরা ঈশ্বরের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মনে কর তোমরা বাগানের মধ্য দিয়ে হাঁটছ। ভীষণ সুন্দর বাগান ।পাখীরা গান করছে,কিচিরমিচির করছে, উড়ছে। তাদের খুব আনন্দ। ঠান্ডা হাওয়া বইছে। তার মৃদু প্রেমময় স্পর্শ তোমাদের ছুঁয়ে যাচ্ছে। আকাশের দিকে চেয়ে দেখ, কী সুন্দর!
ঈশ্বর আকাশ সৃষ্টি করেছিলেন। সেখানে ওম্ কার বা প্রণবধ্বনি স্পন্দিত হয়। তোমরা চিত্কার কর,কথা বল,গান কর এবং কাঁদ। এই শব্দগুলি কোথায় যায়? সেগুলি আকাশে মিশে যায়। আকাশ সকলের শব্দ গ্রহণ করে। সে ধনী হোক বা দরিদ্র, দুর্বল বা সবল।
আকাশ সমস্ত প্রাণীকে উঁচুতে উড়তে ও আনন্দ করতে বলে। সূর্য আলো ও প্রেমের কিরণে ঝলমল করে। সকল মানুষ, পাখী, পশু, গ্রহ, মাছ,পাথর ইত্যাদির দিকে তোমাদের দুহাত ও হৃদয় প্রসারিত করে দিয়ে তাদের সঙ্গে তোমাদের প্রেম ভাগ করে নাও!
আকাশ যেমন সবাইকে গ্রহণ করে,তেমনি তোমাদের হৃদয়ে সবাইকে গ্রহণ করো। এই আনন্দ ও সুখের মধ্যে স্থির হয়ে থেকো। ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের কৃতজ্ঞতা জানাও। এবার নিজেদের মধ্যে ফিরে এস এবং চোখ খোল।
ক্লাসের আলোচনা:
শান্তির পথ– আকাশের শিক্ষা;
আকাশের দিকে ওপরে চাও। মেঘের নানান গঠন লক্ষ্য কর, তারাদের দেখ। তাদের ওপরে আছে আকাশ, সবসময় শান্ত। আকাশের কোন সীমা নেই। সে কিছুতেই বিচলিত হয়না। মানুষের সত্যিকার আমি ঠিক এইরকম। তাকে বলা হয় আত্মা। সে সদা শান্ত, অবিচল, নীরব! এস আমরা তার কথা শুনি।
প্রশ্ন:
১। আকাশে কী দেখলে?
২। কে, কার জন্য আকাশ সৃষ্টি করেছিলেন?
[রেফারেন্স: ‘সাইলেন্স টু সাই- লেন্স’- হ্যান্ড বুক ফর চিল্ড্রেন, পেরেন্টস এ্যান্ড টিচারস্’-লেখক চিত্রা নারায়ণ এবং গায়েত্রী রামচরন সাম্বু এম এস কে,– এ ইন্সটিটিউট অফ সত্য সাই এডুকেশন – মরিসাশ পাবলিকেশনস]