মাটি (১)
মাটি (১)
প্রিয় মিষ্টি শিশুরা,
প্রকৃতি হল ঈশ্বরের পোষাক। আমরা মনের চোখ দিয়ে পৃথিবী মাতাকে দেখব।তিনি এই জগতে আমাদের স্থান দিয়েছেন। আমাদের বহন করছেন। চোখ বন্ধ করে গভীর শ্বাস নাও।
মাটি, জল, আগুন, বাতাস, আকাশ– ঈশ্বর আমাদের এই পন্চভূত দিয়েছেন। বেদ এগুলিকে দিব্য বলে ঘোষণা করেছে।মাটি আমাদের বাস করার জন্য গৃহ দিয়েছে। বাতাস শ্বাস নিতে দেয়, অগ্নি ক্ষুধা নিবৃত্তি করে, জল তৃষ্ণা নিবারণ করে, আকাশ গতিকে সম্ভব করে। এর একটা না থাকলে অন্যটার কী হবে বলতো।মানুষ পৃথিবীকে শোষণ করেছে, তার বুকে দৌরাত্ম্য করেছে। বাতাস ও জলকে দূষিত করেছে। নিজেদের নঞর্থক চিন্তা দিয়ে আকাশকে নষ্ট করেছে। এখন আমরা কী দেখতে পাই? বিশ্ব উষ্ণায়ণ, সংকুচিত হিমবাহ, এবং শীর্ণ নদনদী ইত্যাদি।
আমরা কী করে আমাদের “ভূমাতা”, আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করব?
ভাল হয়ে, ভাল কাজ করে,আমাদের চারপাশ পরিচ্ছন্ন রেখে আমরা এই কাজ করতে পারি। তার জন্য আমাদের জল ও শক্তি সংরক্ষণ করতে হবে। আরও গাছ লাগাতে হবে। বেদমন্ত্র পাঠ করে, ভজন গান করে বাতাসকে সদর্থক চিন্তায় পূর্ণ করে দেওয়ার উপকারিতার কথা ছড়িয়ে দিতে হবে।
হে ঈশ্বর! আমরা প্রত্যেকে যাতে প্রকৃতির প্রতি প্রেম ও শ্রদ্ধা নিয়ে চলতে পারি,তার জন্য আমাদের সাহায্য কর। আমরা ধীরে,ধীরে নিজেদের জায়গায় ফিরে আসব। ভালবেসে হেসে চোখ খুলব।
ক্লাসের আলোচনা:
ধৈর্যের পথ—পৃথিবী,পাহাড়, গাছপালার কাছ থেকে শিক্ষা।
ধৈর্যের পথ—পৃথিবী,পাহাড়, গাছপালার কাছ থেকে শিক্ষা।
পৃথিবী আমাদের ধর্মের পথ দেখায়। আমরা তার বুকে চলাচল করি, কাজ করি।তিনি ধৈর্য ধরে তা সহ্য করেন। পাহাড়, বৃক্ষ এরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। তারা পাখী, পশু ও মানুষকে সর্বদা দান করে। এদের কাছ থেকে পৃথিবীতে চলার পথে আমরা ধৈর্য্য, সহ্য ও ক্ষমার শিক্ষা লাভ করি।
প্রশ্ন:
১। পঞ্চভূত কী?
২। আমাদের কোন আচরণ ভূমাতাকে দুঃখ দিয়েছে?
৩। আমরা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচাতে পারি?
[রেফারেন্স: ‘সাইলেন্স টু সাই- লেন্স’- হ্যান্ড বুক ফর চিল্ড্রেন, পেরেন্টস এ্যান্ড টিচারস্’- লেখক চিত্রা নারায়ণ এবং গায়েত্রী রামচরন সাম্বু এম এস কে,– এ ইন্সটিটিউট অফ সত্য সাই এডুকেশন – মরিসাশ পাবলিকেশনস]