অখণ্ডতা
নীরবতার সময়–অখণ্ডতা
কিভাবে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তা জানা
(অনুচ্ছেদ ও ডটের জায়গাগুলিতে থামতে হবে।)
ধাপ ১:“প্রথমে নিজেদের চেয়ারে আরাম করে বোস অথবা মাটিতে বাবু হয়ে
বোস। শিরদাঁড়া যাতে সোজা থাকে ও মাথা উঁচু থাকে সেদিকে খেয়াল রেখ। গভীর শ্বাস নাও ও শ্বাস ছাড়ার সময় নিজেকে শান্ত রাখ। আবার গভীর শ্বাস নাও…আবার নাও…”
ধাপ ২: “শরীরকে সম্পূর্ণ শিথিল করে দাও। পায়ের আঙুলগুলি লম্বা করো ও শিথিল করো।পায়ের ডিমের পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো।পায়ের উপরিভাগের ও ঊরুর পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো। পেটের পেশী ভিতরে টেনে নাও, তারপর শিথিল করো। কাঁধ পিছনে নিয়ে যাও ও শিথিল করো। কাঁধ উপরে ও নীচে ঝাঁকাও। বাঁদিকে তাকাও, সামনে তাকাও, ডানলিকে চাও,সামনে চাও। মুখের পেশী কুন্চিত করো ও শিথিল করো। অনুভব করো যে তোমার সারা শরীর শিথিল হয়ে গেছে–সব আড়ষ্টতা চলে গেছে। তোমার ভাল লাগছে।”
ধাপ ৩: “এবার নিজের জীবনের গতিবিধির ওপর মনন করো। ভেবে দেখ তুমি কি নিজে নিজের কাছে সম্পূর্ণ সৎ?
ভেবে দেখ, তুমি কি অন্যের কাছে সৎ? চিন্তা করে দেখো যে তোমার আচরণ কি পরিবেশের পক্ষে ভাল? তুমি কি তা নিয়ে সন্তুষ্ট?সেগুলির মধ্যে কি যথাযথ সাম্য আছে?
এই কাজগুলি কি তুমি ভবিষ্যতেও করতে চাও?
যদি তা না হয়, তাহলে এমন কিছু কাজ কি তুমি করতে পারো যা তোমার পক্ষে উপকারী, তোমার চারপাশের মানুষের পক্ষে ভাল এবং পরিবেশের পক্ষেও ভাল? নিজের প্রতি ও অন্যের প্রতি সৎ থেকে অন্বেষণ করো। তোমার নিজেকে ভাল লাগবে।
ধাপ ৪: “এবার তোমার মনোযোগ ক্লাসে ফিরিয়ে আন। চোখ খোল ও হাত পা মেলে দাও, অনুশীলন শেষ হয়েছে। পাশে যে আছে, তার দিকে চেয়ে হাস।
[‘সত্য সাই এডুকেশন ইন হিউমান ভ্যালুজ’ থেকে গৃহীত। BISSE দ্বারা প্রকাশিত।]