সংকল্পের দৃঢ়তা
নীরবতার সময়–সংকল্পের দৃঢ়তা
দৃঢ় সংকল্পের শক্তিকে জানা
(গুরুমা ধীরে ধীরে অনুশীলনীটি পড়বেন। ডটের জায়গাগুলিতে থামতে হবে…চাইলে ঘরে মৃদু সঙ্গীত বাজানো যেতে পারে)।
ধাপ ১: “প্রথমে নিজেদের চেয়ারে আরাম করে বোস অথবা মাটিতে বাবু হয়ে বোস। শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে ও মাথা উঁচু থাকে সেদিকে খেয়াল রেখ। গভীর শ্বাস নাও ও শ্বাস ছাড়ার সময় নিজেকে শান্ত রাখ। আবার গভীর শ্বাস নাও…আবার নাও।”
ধাপ ২: এবার শরীর থেকে সব আড়ষ্টতা দূর করে দাও। পায়ের আঙুলগুলি লম্বা করো ও শিথিল করো।পায়ের ডিমের পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো। পায়ের উপরিভাগের ও ঊরুর পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো। পেটের পেশী ভিতরে টেনে নাও ও শিথিল করো। কাঁধ পিছনে নিয়ে যাও ও শিথিল করো। কাঁধ উপরে, নীচে ঝাঁকাও। বাঁদিকে চাও, সামনে চাও, ডানদিকে চাও, সামনে চাও। মুখের পেশী কুন্চিত করো ও শিথিল করো। অনুভব করো যে তোমার সারা শরীর শিথিল হয়ে গেছে– সব আড়ষ্টতা দূর হয়ে গেছে।
ধাপ ৩: এমন একটা সময়ের কথা চিন্তা করো যখন কঠিন হলেও তুমি সেই কাজটা করেছিলে। আরেকটা ঐরকম কাজের কথা চিন্তা করো…তোমার কেমন অনুভূতি হয়েছিল?
এমন একটা সময়ের কথা চিন্তা করো যখন, তুমি যে কাজ করতে চেয়েছিলে, সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছিলে…
তোমার মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল?
কল্পনা করো যে তুমি সেই কাজটা আবার করতে চেষ্টা করছ…আবার ব্যর্থ হলে…আবার চেষ্টা করলে, আবার চেষ্টা করলে।যতবার ব্যর্থ হবে ততবার কল্পনা করবে যে তুমি সফল হয়েছ…
তোমার সাফল্যে যে অভিনন্দন তুমি পেলে, তার কথা চিন্তা করো।
কেমন লাগল?
বারবার চেষ্টা করা ও সফল হওয়ার জন্য নিজের পিঠ চাপড়াও। জেনে রাখ যে চেষ্টা চালিয়ে গেলে একদিন তুমি ঠিকই সফল হবে।
ধাপ ৪: এবার তোমার মনোযোগ ক্লাসে ফিরিয়ে আন। চোখ খোল ও হাত পা মেলে দাও। অনুশীলন শেষ হয়েছে। তোমার পাশে যে আছে, তার দিকে চেয়ে হাস।
‘সত্য সাই এডুকেশন ইন হিউমান ভ্যালুজ’ থেকে গৃহীত ও BISSE Ltd দ্বারা প্রকাশিত।