সৌন্দর্য্য
শান্ত থাকার সময়– সৌন্দর্য্য
জ্যামিতির মধ্য দিয়ে সৌন্দর্য্যের গুরুত্বের মূল্য বুঝতে শেখা
(গুরুমা ধীরে ধীরে অনুশীলনীটি পড়বেন। ডটের জায়গাগুলিতে থামতে হবে।চাইলে ঘরে মৃদু সঙ্গীত বাজানো যেতে পারে)।
ধাপ ১: “প্রথমে নিজেদের চেয়ারে আরাম করে বোস অথবা মাটিতে বাবু হয়ে বোস। শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে ও মাথা উঁচু থাকে সেদিকে নজর রেখ। গভীর শ্বাস নাও ও শ্বাস ছাড়ার সময় নিজেকে শান্ত রাখ। আবার গভীর শ্বাস নাও…আবার নাও।”
ধাপ ২: এবার দেহ থেকে সমস্ত আড়ষ্টতা দূর করে দাও। পায়ের আঙুলগুলি লম্বা করো ও শিথিল করো।পায়ের ডিমের পেশীগুলি শক্ত করো ও শিথিল করো।পায়ের উপরিভাগের ও ঊরুর পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো।পেটের পেশী ভিতরে টেনে নাও ও শিথিল করো। কাঁধ পিছনে নিয়ে যাও ও শিথিল করো। কাঁধ উপরে, নীচে ঝাঁকাও। বাঁদিকে চাও, সামনে চাও, ডানদিকে চাও, সামনে চাও। এবার মুখের পেশী কুন্চিত করো ও শিথিল করো। অনুভব করো, তোমার সমস্ত শরীর শিথিল হয়ে গেছে– সব আড়ষ্টতা চলে গেছে।
ধাপ ৩: কল্পনা করো যে তুমি স্বাধীন ভাবে পাখীর মতন উড়ে বেড়াচ্ছ…
তুমি আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছ, তুমি নিরাপদ, খুশী, শান্তিতে আছ, আত্মবিশ্বাসী…
উড়তে, উড়তে তোমার নীচে, উজ্জ্বল, উষ্ণ আলোয় স্নাত পৃথিবীর সম্পর্কে সজাগ হও…পৃথিবীর বুকে একটি জায়গা বেছে নাও ও সেখানে নেমে এসে স্থির হয়ে বোস।
কল্পনা করো যে তুমি তোমার সঙ্গে কিছু উপহার এনেছ; সেগুলি হল, নিরাপত্তা, আরাম, আনন্দ, সৃষ্টিশীলতা, স্বাধীনতা ও বন্ধুত্ব।
মনে করো তারা তোমার চারপাশে রূপ গ্রহণ করছে। কেউ হল দেওয়াল, কেউ জানলা, দরজা, মেঝে ও মাথার ওপরের ছাদ…
ভাব যে সেগুলি তোমার আন্তর চরিত্রের ও গুণের বাহ্য রূপ …কল্পনা করতে চেষ্টা করো যে কেমন রূপে তোমার ঐ গুণগুলি ও মূল্যবোধগুলি তাদের শ্রেষ্ঠ স্বরূপে প্রকাশিত হতে পারে…
দেখো, তুমি যে গৃহটি নির্মাণ করেছ, সেটি যেন নিরাপদ ও মজবুত হয়।সেটি যেন তোমার দেহ ও প্রাণ যেমনটি চায় তেমনই ব্যন্জনাকে ফুটিয়ে তোলে। এই গৃহ এখন তোমারই মতন সেই উপহারগুলি ও আনন্দময় স্বাধীনতা বহন করছে…
এবার সূর্য অস্ত যাচ্ছে; তোমার নতুন বাড়ী আলোয় ও উষ্ণতায় ঝলমল করছে…আনন্দে, সন্তুষ্ট মনে তোমার নতুন বাড়ীতে বিশ্রাম করো…
ধাপ ৪: এবার তোমার মনোযোগ ক্লাসে ফিরিয়ে আন। চোখ খোল ও হাত, পা মেলে দাও। অনুশীলন শেষ হয়েছে।তোমার পাশে যে আছে তার দিকে চেয়ে হাস।
[‘সত্য সাই এডুকেশন ইন হিউমান ভ্যালুজ’ থেকে গৃহীত ও BISSE Ltd দ্বারা প্রকাশিত।]