ব্রহ্মার্পণং – বিশদ পাঠ
ব্রহ্মার্পণং – বিশদ পাঠ
ব্রহ্মার্পণং ব্রহ্ম হবির্ব্রহ্মাগনৌ ব্রহ্মণা হুতম্।
ব্রহ্মৈব তেন গন্তব্যং ব্রহ্ম কর্মসমাধিনা।
(Chap.৪, Verse ২৪)
আহুতি দানের পাত্রকে ব্রহ্ম, ঘৃতকে ব্রহ্ম, অগ্নিকে ব্রহ্ম, যিনি হোম করেন তাঁকেও ব্রহ্ম—- এইরূপ জ্ঞানে ব্রহ্মরূপে কর্মে সমাহিত চিত্ত ব্যক্তির প্রাপ্তব্য ফলও ব্রহ্ম।
যজ্ঞ অর্থাৎ ‘ত্যাগ’, যার সম্পাদনের উদ্দেশ্য ঈশ্বর বা দেবতাকে সন্তুষ্ট করা। বৈদিক ক্রিয়া অনুসারী যে যজ্ঞ, সেখানে যজ্ঞে অগ্নি প্রজ্জলিত হয়। তাতে আহুতি প্রদত্ত হয়। সেই অগ্নিতে আহুতি রূপে যা কিছু দেওয়া হয়, বিশ্বাস করা হয় যে সে সবই দেবতাদের কাছে পৌঁছে যায়।
বাবা বলেন, “যজ্ঞ হল দিব্য ডাক পরিবহণ ব্যবস্থা। পবিত্র অগ্নি হল চিঠি ফেলার বাক্স। যে আহুতি দেওয়া হয়, সেটাই চিঠির বিষয়। বৈদিক মন্ত্রগুলি হল ঠিকানা। যিনি যজ্ঞ করছেন, তাঁর বিশ্বাস হল ডাকটিকিট। এই পত্র যখন ঈশ্বরের কাছে পৌঁছয়, তখন তিনি মানবজাতিকে শান্তি ও সমৃদ্ধি দিয়ে আশীর্বাদ করেন।”
যে কোন ব্যক্তি যে সর্বদা ঈশ্বরের উপস্থিতিকে স্মরণ করে, এবং সব কাজ তাঁকে সমর্পণ ক’রে, সেই হল যজ্ঞকারী বা হোতা। স্বার্থপর বাসনা ও ভাবাবেগকে, ইন্দ্রিয় উন্মাদনা ও ইন্দ্রিয়ের দ্বারা তাড়িত হয়ে কৃত কর্মকে প্রতিদিন আত্মনিবেদন ও ভক্তির অগ্নিতে আহুতি দাও। সেই হবে তোমাদের যজ্ঞ।