জল – 2
জল – ২
গল্প
রমেশ নামে একটি ছেলে ছিল। বাগানে অবসর সময় কাটাতে সে খুব ভালোবাসত। একদিন সে বাজার থেকে কয়েকটা ফুলের চারা এনে বাগানে পুঁতে দিল। সে বাগানের খুব যত্ন করতে লাগল। এক সপ্তাহ পরে সে তার বাবা-মার সঙ্গে দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে গেল। পনেরো দিন পরে ফিরে এসে দেখল সব গাছগুলো মরে গেছে, একটা গাছও বাঁচেনি। Q. গাছ গুলো কেন মরে গেল বলতো? Q. রমেশের কি করা উচিত ছিল? Q. জলের অভাবে তোমার কি কি সমস্যা হতে পারে?
দলগত কার্যক্রম
ছেলেমেয়েদের পাঁচ থেকে আট জনের দলে ভাগ করা হবে। প্রত্যেক দল জলের ব্যবহারের উপর তালিকা তৈরি করবে। তারা জলের ব্যবহার এর উপর ছবি আঁকবে এবং তাতে ক্যাপশন বা শিরোনাম লিখবে। তালিকা এবং ছবির উপর ভিত্তি করে ক্লাসে আলোচনা হবে। ছবিগুলো সকলের দেখার জন্য দেওয়ালে টাঙানো থাকবে।
সমবেত সঙ্গীত
ঈশ্বরের অতুল সৃষ্টি _ জল, ওগো জল তোমা বিনা আমাদের জীবন অচল
জলই জীবন মম, জলেই পোষণ নিত্যকার বব্যহারে জল প্রয়োজন।
তোমার মধুরসে হয় মধুময় জীবন ভুলেও না করি যেন তোমার দূষণ
এ শপথ পালনেই সবার মঙ্গল ঈশ্বরের অতুল সৃষ্টি জল তুমি জল।
গল্প
রাজা দিলীপের পুত্র ছিলেন ভগীরথ। যখন ভগীরথ রাজা হলেন, তিনি পবিত্র গঙ্গা নদীকে স্বর্গ থেকে মর্তে নিয়ে আসার সংকল্প করলেন। শিব এবং ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি কঠোর তপস্যা শুরু করলেন। তার ভক্তি এবং অধ্যাবসায় দেখে দুজনেই খুশি হলেন। শিব গঙ্গাকে তাঁর জটার মধ্যে ধারণ করলেন, তারপর গঙ্গা ধরাধামে প্রবাহমানা হলেন। যেখান দিয়ে গঙ্গা চললেন, তার দুই তীরে সুখ-সমৃদ্ধি আর আনন্দে পরিপূর্ণ হল। নদীর অববাহিকায় নতুন সভ্যতা গড়ে উঠলো। মা গঙ্গা প্রকৃতই জীবনীশক্তি পবিত্রতা এবং দিব্যত্বের প্রতীক।
নীরব উপবেশন
ছেলেমেয়েরা সুখাসনে বসে মনে মনে চিন্তা করবে – আমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলাম ভগবানের কাছে প্রার্থনা করলাম। বিছানা থেকে নেমে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে গুরুজনদের প্রণাম করলাম। ঠান্ডা জলে স্নান করলাম। জল দিয়ে জামা কাপড় কাচলাম, মা জল দিয়ে বাসন মাজলেন, বাড়ির সদর দরজায় জল ঢেলে দিলেন। তারপর তিনি আমাদের জন্য খাবার বানালেন। রান্না করতে জল লাগল। জলখাবার খেয়ে সকলে জল খেলাম। এবার স্কুলে গেলাম। স্কুল থেকে ফিরে জল দিয়ে মুখ, হাত, পা ভালো করে ধুলাম। বাগানে গিয়ে গাছে জল দিলাম। বিকালের জলখাবার খেয়ে জল খেলাম। জল ছাড়া আমরা বেঁচে থাকার কথা ভাবতেও পারি না। জল, তুমি সত্যিই মহান। ঈশ্বর তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। তার কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ। আমি কখনো জলের অপচয় করবো না। আমি তোমাকে সর্বদা পবিত্র রাখার অঙ্গীকার করছি।
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।।