পৃথিবী (২)
প্রিয় মিষ্টি শিশুরা,
পঞ্চভূতের প্রতিটিই ঈশ্বরের দিব্য তত্ত্ব। ভূমাতা পঞ্চভূতের অন্যতম। আমরা তাঁকে ভূ-দেবী বা ধরিত্রীমাতা রূপে পূজা করে থাকি।
পৃথিবী (২)
প্রিয় মিষ্টি শিশুরা,
পঞ্চভূতের প্রতিটিই ঈশ্বরের দিব্য তত্ত্ব। ভূমাতা পঞ্চভূতের অন্যতম। আমরা তাঁকে ভূ-দেবী বা ধরিত্রীমাতা রূপে পূজা করে থাকি।
মাটি আছে বলেই আমাদের জীবন সমৃদ্ধ হয়।এর পাঁচটি গুণ আছে। এগুলি হল–শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধ।
চোখ বন্ধ করে ভূমাতাকে কল্পনা কর। তিনি তোমাদের এবং আমাকে ধারণ করে আছেন। তিনি কোন প্রত্যাশা না রেখে পৃথিবীর সবার সেবা করেন। তাঁর ওপর দাঁড়িয়ে থাকা উচ্চ পর্বতগুলিকে দেখ। তাঁর ওপর দিয়ে শক্তিশালী ও দীর্ঘ নদীগুলি বয়ে চলেছে। ছোট, বড় দীঘি,পুকুর জলে টলমল করছে। সুউচ্চ সৌধমালা, প্রাসাদ, অট্টালিকা, তাঁর ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
কৃষির কথা ভাব। সমগ্র পৃথিবীর অন্ন উত্পন্ন হচ্ছে। হে ভূমাতা! আমরা তোমার বুকে খনন করি; চাষ করি। কিন্ত তুমি আমাদের অন্ন দাও,কয়লা দাও, খনিজ পদার্থ সকল দাও, আরো কতকিছু দাও। তুমি আমাদের মা, আমরা তোমার সন্তান। হ্যাঁ আমরা সবাই ভূমাতার সন্তান। এবার এই কথাগুলি বল।
“হে ধরিত্রী মাতা,আমি তোমায় ভালবাসি ও আমি তোমার সন্তান।” এখন দুই হাতের তালু ঘষে, চোখ, মুখে স্পর্শ কর। ধীরে, চোখ খোল।
ধৈর্যের পথ–পৃথিবীর,পর্বতের ও বৃক্ষের শিক্ষা।
পৃথিবী আমাদের ধর্মের পথ দেখায়।আমরা সবাই পৃথিবীর বুকে হাঁটাচলা করি, কাজ করি। তিনি ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের কাজকর্ম সহ্য করেন। পাহাড় ও গাছপালা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে।তারা পাখী, পশু ও মানুষকে কতকিছু দেয়। পৃথিবীর বুকে হাঁটতে, চলতে কাজ করতে, করতে আমরাও এরকম, ধৈর্য, সহ্য ও ক্ষমার শিক্ষা লাভ করব।
১। পঞ্চভূতের নাম বল।
২। ভূমাতার কাছ থেকে আমরা কী, কী পাই?
৩। আমরা কী করে পৃথিবীকে রক্ষা করব?
[রেফারেন্স: ‘সাইলেন্স টু সাই- লেন্স’- হ্যান্ড বুক ফর চিল্ড্রেন, পেরেন্টস এ্যান্ড টিচারস্’-লেখক চিত্রা নারায়ণ এবং গায়েত্রী রামচরন সাম্বু এম এস কে,– এ ইন্সটিটিউট অফ সত্য সাই এডুকেশন – মরিসাশ পাবলিকেশনস]