আগুন
প্রিয় শিশুরা,
সোজা হয়ে বোস। কোনরকম আড়ষ্টতা রেখোনা। শ্বাস গ্রহণ কর আর ছাড়। এখন আমরা দেখব আগুনকে। অগ্নি ‘আলোর’ প্রতীক।
আগুন
প্রিয় শিশুরা,
সোজা হয়ে বোস। কোনরকম আড়ষ্টতা রেখোনা। শ্বাস গ্রহণ কর আর ছাড়। এখন আমরা দেখব আগুনকে। অগ্নি ‘আলোর’ প্রতীক।
আগুনকে বলা হয় ‘অগ্নিদেব।’ আমরা তাঁকে পূজা করি। আমরা হোম করে থাকি। আমরা আগুনের শিখা দিয়ে ভগবানের আরতি করি। এবার ধীরে, ধীরে চোখ বন্ধ কর। আমরা আগুনের উত্তাপ অনুভব করব।
সকাল হ’ল।। তোমরা তাড়াতাড়ি উঠে সকালের প্রার্থনাটি আবৃত্তি কর। একবার বেরিয়ে সূর্যের দিকে দেখ। সূর্যের আলো রাত্রির অন্ধকারে দূর করে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সকালের সূর্যের সেই উত্তাপ তোমরা অনুভব করতে পার। তোমরা স্নান করে কাচা কাপড় রৌদ্রে শুকোতে দাও। তারপর তোমাদের মা আগুনের সাহায্যে রান্না করা গরম খাবার তোমাদের খেতে দেন।দুপুর বেলায় সূর্য ঠিক মাথার ওপর ওঠে। আবার তোমরা আগুনের সাহায্যে রান্না করা সুস্বাদু মধ্যাহ্ণ আহার উপভোগ কর। সারাদিন সূর্য আলো, উত্তাপ ও শক্তি দেয়। সন্ধ্যার সময় তোমরা চাঁদের আলো পাও। মা সন্ধ্যার উপাসনার জন্য পূজার ঘরে পবিত্র প্রদীপ জ্বেলে দেন। সুগন্ধি ধূপও জ্বালানো হয়।
কল্পনা করে দেখ এবং বল যে যেখানে আলো থাকে সেখানে অন্ধকার থাকতে পারেনা। আগুন যেমন সবকিছু পুড়িয়ে দেয় তেমন ঈশ্বরের জ্ঞান সব মন্দ চিন্তাকে দূর করে দেয়। মন্দ চিন্তা দূর হয় আর ভাল চিন্তার প্রবেশ ঘটে। প্রদীপের শিখা সর্বদা ঊর্ধ্বমুখী হয়। আমাদেরও তেমনি সর্বদা উচ্চ ও মহান আদর্শ ও চিন্তাকে হৃদয়ে রাখতে হবে। এই কথাগুলি বলে ধীরে, ধীরে চোখ খোল। হে ঈশ্বর! আমাদের অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে চল।
সংকল্পের পথ- অগ্নির শিক্ষা।
উনুন,প্রদীপ, বা মোমবাতির উজ্জ্বল শিখা উষ্ণতা ও আলো দেয়। নিরাকার অগ্নিতে যাই ফেলা হয়,সে তাই দগ্ধ করে। মহাপুরুষ, যাঁদের আমরা সন্ত বলি, তাঁরাও এমনটাই হন। তাঁদের সংকল্প, তাঁদের নিয়মনিষ্ঠা, ও আত্মসংযম ,তাঁদের শক্তিমান করে তোলে। তাঁদের বিদ্যা ও জ্ঞান অন্যকে পথ দেখায় এবং সর্বদাই বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১। তোমরা কী দেখলে?
২। তোমাদের কেমন লাগল?
৩। আগুনের গুণ কী?
[রেফারেন্স:’সাইলেন্স টু সাই- লেন্স’-হ্যান্ড বুক ফর চিল্ড্রেন, পেরেন্টস এ্যান্ড টিচারস্’ – লেখক চিত্রা নারায়ণ এবং গায়েত্রী রামচরন সাম্বু এম এস কে, — এ ইন্সটিটিউট অফ সত্য সাই এডুকেশন – মরিসাশ পাবলিকেশনস]