স্বামী – যিনি ত্রিমূর্তির অবতার
১৯৭৮ সালের ৭ই মার্চ, বৃহস্পতিবার, শিবরাত্রি ছিল। ভক্তেরা সবাই জল্পনা করছিলেন যে এই পবিত্র দিনে স্বামী কোথায় থাকবেন। তিনি কয়েকজন মাত্র ছাত্র ও ভক্তের সঙ্গে ৪ঠা মার্চ ভোরবেলায় অন্য উটি চলে গেলেন। ৭ তারিখে তিনি উটি ছেড়ে, মাইসরের পথে মধুমালাই অরণ্যাঞ্চলে চলে গেলেন। বনের মধ্যে, একটি ছোট পাহাড়ের মাথায়, একটি গেস্টহাউসে তাঁরা যাত্রা ভঙ্গ করলেন।
প্রাতঃরাশের পর বাবা গেস্টহাউসের সামনের অতি সুন্দর সবুজ প্রান্তরে হাঁটছিলেন। দলের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে তিনি ছবি তুলছিলেন। একজন ছাত্র ছবি তোলার জন্য একটি পোলারয়েড ক্যামেরা ব্যবহার করছিলো। তখনি তখনি সদস্যদের হাতে ছবি দিয়ে দেয়া হচ্ছিল। একদম শেষে বাবা সেই ছাত্রটিকে তাঁর একটি ছবি তুলে দিতে বললেন।
তাঁর কমলা রঙের জামাটির তলার দিকটা একটা ঝোপের ডালে আটকে গিয়েছিলো। ক্যা মেরা সচল হবার আগে শ্রীমতি রতনলাল জামাটির ভাঁজ ঠিক করে দেবার জন্য ছুটে সামনে এগিয়ে গেলেন। কিন্তু সবাই অবাক হয়ে গেলো যখন ভগবান বাবা তার দিকে চেয়ে জোরে চেঁচিয়ে উঠলেন “আমাকে স্পর্শ করোনা।” শ্রীমতি রতনলাল তাড়াতাড়ি নিজের জায়গায় ফিরে গেলেন। ছবি তোলা হয়ে গেলে, ক্যামেরা থেকে ছবিটি যখন বেরিয়ে আসছে, তখন সেটিকে ধরে বাবা যোগা রাওকে দিলেন। তাঁর হাতে থাকতে থাকতেই ছবিটি ধীরে ধীরে ফুটে উঠতে লাগলো। কিন্তু তিনি কী দেখলেন?
সাদা কালো ছবিটির যে জায়গায় কমলা রঙের জামা পরা সত্য সাই বাবাকে তিনি দেখবেন বলে আশা করেছিলেন সেই জায়গায় একটি ছেলেমানুষ ছেলেকে তিনি দেখলেন। তাঁর পরণে লম্বা সাদা জামা ;তাঁর তিনটি মাথা এবং ছয়টি হাত।
প্রতিটি হাতে একটি দেবতার চিহ্ন। নীচের বাম হাতটি বেঁকে একটি রাজকীয় সাদা বৎসের ওপর রাখা। পিছনে চারটি কুকুর রয়েছে দেখা গেলো। মাঝখানে ভগবান বাবার মুখ.ঐটি ছিল ভগবান দত্তাত্রেয়র মূর্তি। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর, যেমন প্রাচীন শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে তেমন, ত্রিমূর্তির বিগ্রহ। এটিই তাঁর প্রকৃত রূপ। এই অবিশ্বাস্য সৃষ্টি যখন সকলে প্রাণভরে দেখল, তখন ছবিটি মিলিয়ে গেলো। পরের দিন বৃন্দাবনে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাবা আবারও বললেন যে সেটিই তাঁর সত্য রূপ। তিনি আরো পরিষ্কার করে বললেন যে সেই ক্ষণে শ্রীমতি রতনলাল যদি তাঁকে স্পর্শ করতেন, তাহলে তিনি আর বাঁচতেন না।
Source: [http://www.saibaba.ws/articles2/jogarao.htm]