জাতীয় পতাকা
- ভারতের জাতীয় পতাকা সমান্তরালভাবে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত –
- সবথেকে উপরে কমলা রঙ (কেশর রঙ)।
- মধ্যে সাদা রঙ এবং।
- শেষে গাঢ সবুজ, সবগুলি রঙ সমপরিমাণ অংশ দখল করে আছে ।
- পতাকার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাত হল ৩:২।
- সাদা অংশের মধ্যে একটি গাঢ নীল চাকা আছে যা কাল চক্রের প্রতীক।
- ওপরের কমলা রঙ ভারতের ত্যাগ, শৌর্য ও সাহসের প্রতীক।
- মাঝের সাদা অংশটি শান্তি ও সত্যের প্রতীক ও চক্রটি হলো ধর্মচক্র।
- এই ধর্মচক্র ‘আইনের চক্র’। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে সারনাথে মৌর্য সম্রাট অশোক যে অশোকস্তম্ভ নির্মাণ করেন, এটি তার অঙ্গ।
- চক্রের পরিমাপ সাদা অংশটির পরিমানানুগ এবং এটিতে ২৪ টি পাখি(স্পোক) আছে।
- চক্র এটাই বোঝায় যে চলমানতাই জীবন এবং গতিহীনতাই মৃত্যু।
- সবুজ অংশটি ভারতের উর্বরতা, অগ্রগতি এবং পবিত্রতার প্রতীক।
- ১৯৪৭ সালের ২২শে জুলাই ভারতীয় গণ পরিষদ এই পতাকার নকশা গ্রহণের স্বীকৃতি দেয়।
সত্যমেব জয়তে
- ভারতের জাতীয় প্রতীকটি সারনাথে সম্রাট অশোক নির্মিত অশোকস্তম্ভ থেকে গৃহীত।
- ১৯৫০সালের ২৬শে জানুয়ারী ভারত সরকার জাতীয় প্রতীকরূপে এটিকে স্বীকৃতি দেন; এটিতে তিনটি সিংহ দৃষ্টিগোচর হয় ; চতুর্থটি দেখা যায়না।
- চক্রটির অবস্থান স্তম্ভশীর্ষফলকের কেন্দ্রে। তার ডানদিকে একটি ষাঁড় এবং বাঁদিকে একটি ঘোড়া আছে।
- ‘সত্যমেব জয়তে ‘ মুণ্ডক উপনিষদ থেকে গৃহীত বাক্যটির অর্থ ‘একমাত্র সত্যেরই জয় হয়’। এটি দেবনাগরীতে স্তম্ভশীর্ষফলকের নীচে লিখিত আছে।
ক্লাসে করণীয় কার্য –
বেদের বাণী ‘সত্যম বদহ ধর্মম চর’ এই বিষয়ে ক্লাসে আলোচনা করা যেতে পারে। ছাত্রদের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রতীকের ছবি দেখানো যেতে পারে। বৈদিক বিধানটি এবং জাতীয় প্রতীকের সম্পর্ক নিয়েও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।