দশরথের জীবনাবসান
ইতিমধ্যে সুমন্ত্র অযোধ্যায় ফিরলেন। সকলকে রামের বার্তা শোনালেন। প্রজা ও মন্ত্রীদের রাম অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন মহারাজকে সন্তুষ্ট রাখেন। ভরত যেন প্রজাদের কল্যাণের দিকে দৃষ্টি দেন এবং পিতা-মাতার সেবা করেন। দশরথের দুঃখ আরও প্রবল হল। রামের নাম করতে করতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।
গুরু শিশুদের বলবেন, রাজা দশরথ রামকে এতটাই স্নেহ করতেন যে তার বিচ্ছেদ সহ্য করতে পারলেন না। রাম চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে গিয়েছেন, এই ভাবনা এবং রামের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ তিনি সহ্য করতে পারলেন না। দেহত্যাগ করলেন। মা বাবার ভালোবাসা
এমনই নিঃস্বার্থ। শিক্ষণীয় মূল্যবোধঃ মা-বাবার ভালবাসাকে শ্রদ্ধা করবে এবং সারা জীবন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।
ভরতএবং শত্রুঘ্ন মাতামহের বাড়ি থেকে ফিরে এই দুঃসংবাদ শুনলেন। কৈকেয়ীর ইচ্ছা অনুসারে রামের বনবাস এবং তার নিজের রাজা হওয়ার কথা শুনে ভরতের মাথা লজ্জায় অবনত হল।
বশিষ্ঠ ভরতকে দশরথের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বললেন। ভরত রামকে ফিরিয়ে আনবার জন্য বনে যেতে চাইলে শত্রুঘ্ন, রানীরা এবং অযোধ্যার অনেক মানুষ তার সঙ্গী হলেন।
গুরু শিশুদের বলবেন
মন্থরার কুপরামর্শে তাঁর নিজের জীবন নষ্ট করে ফেললেন। তিনি তাঁর স্বামীকে হারালেন। তার জঘন্য ব্যবহারের জন্য নিজের ছেলে তাঁকে ঘৃণা করতে শুরু করল। পরিচিত সকল মানুষের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসাও হারালেন।
শিক্ষনীয় মূল্যবোধঃ কখনো কারো দ্বারা নিজের মনকে প্রভাবিত করবে না।
যে কোন কাজ করার আগে তার ফলাফল সম্বন্ধে চিন্তা করা উচিত।