রামের বনবাসে গমণ
অযোধ্যা নগরী শোক সাগরে নিমজ্জিত হল। রাম, লক্ষণ এবং সীতা অযোধ্যা ত্যাগ করলেন। তাদের রথের সারথি হলেন সুমন্ত্র। তিনি রামের সঙ্গে চোদ্দ বছর বনবাসে কাটাতে চাইলেন। কিন্তু রাম রাজি হলেন না।
গুরু শিশুদের বলবেন:
যদি তুমি ভালো হও সকলের তোমাকে ভালোবাসবে। তোমার ভালো আর মিষ্টি স্বভাব কে শ্রদ্ধা করবে।
শিক্ষনীয় মূল্যবোধ– যার মধ্যে মূল্যবোধ আছে সেই প্রকৃত নায়ক। ‘হিরো হও, জিরো হ’য়ো না।
অবশেষে তারা গঙ্গা নদীর তীরে পৌছলেন। কয়েকজন মাঝি রাজার রথ দেখতে পেয়ে তাদের নেতা গুহকে খবর দিল।গুহ ফল, ফুল নিয়ে রামকে অভ্যর্থনা করবার জন্য এগিয়ে এল। তাঁকে তার গৃহে আতিথ্য গ্রহণ করতে অনুরোধ করলো। রাম গুহর আতিথ্য গ্রহণ করলেন না। পরদিন সকালে তারা সুমন্ত্র কে বিদায় জানালেন। গুহ তাদের নৌকা করে গঙ্গা পার করে দিলেন। তাঁরা ভরদ্বাজ মুনির আশ্রমে পৌঁছলেন। তাঁরা গুহকে নিজের প্রজাদের কাছে ফিরে যেতে বললেন। সবশেষে রামচন্দ্র উপস্থিত হলেন বাল্মিকীর আশ্রমে। তাঁর পরামর্শ মতো চিত্রকূট পর্বতে বসবাস করবার জন্য একটি সুন্দর স্থান নির্বাচন করলেন। রাম ও সীতার সাহায্য নিয়ে লক্ষ্মণ সেখানে একটি পর্ণকুটির নির্মাণ করলেন।
গুরু শিশুদের বলবেন
অবতার হয়েও রাম পর্ণকুটির নির্মাণে নিজে হাত লাগালেন, চুপ করে বসে থাকলেন না। ঠিক এইরকমই ভগবান বাবা সারাদিন দর্শন দেওয়া, চিঠিপত্র নেওয়া, নির্মীয়মান কাজকর্মগুলো পরিদর্শন করা প্রভৃতি কাজে ব্যস্ত থাকতেন। আমাদের কল্যাণের জন্য তিনি দিবারাত্র অবিরাম পরিশ্রম করে গেছেন।
লক্ষ্ণণ ও সীতা রাজপ্রাসাদের আড়ম্বরপূর্ণ জীবন ছেড়ে রামের সঙ্গে চোদ্দ বছর বনবাসে কষ্টকর জীবন কাটাবার সিদ্ধান্ত নিলেন কারণ তারা রামকে খুব ভালবাসতেন। তাঁর থেকে দূরে থাকার কথা তারা ভাবতেও পারতেন না।
শিক্ষণীয় মূল্যবোধ-কর্তব্যকে সর্বদা প্রাধান্য দিতে হবে। একটি পরিবারের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি হল ভালোবাসা ও ত্যাগ।