অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন
রাম ও সীতার পূণর্মিলন হল। চৌদ্দ বছর বনবাস শেষে, তাঁদের এখন অযোধ্যায় ফেরার পালা। ভরত রামের প্রত্যাবর্তনের খবর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। তিনি নন্দীগ্রাম থেকে অযোধ্যায় চলে এলেন। তিনি ঋষি মুনি, গুরু, নগরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, তিন রাণী এবং শত্রুঘ্নকে সঙ্গে নিয়ে রামের সাথে দেখা করতে চললেন। ভাইয়েরা রামের চরণে সাষ্টাঙ্গে ভক্তি পূর্ণ শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন। সম্পূর্ণ রাজ্য আনন্দ ও উত্তেজনায় টগবগ করতে লাগল। রাজপ্রাসাদে প্রবেশের পর, বশিষ্ঠ রামের রাজ সিংহাসনে অভিষিক্ত হওয়ার বিশেষ দিন ঘোষণা করলেন। সেই দিন রাম বশিষ্ঠ ও অন্যান্য সাধুদের সামনে নতজানু হলেন, রাণীমাদের চরণ স্পর্শ করে সিংহাসনে আরোহণ করলেন। সীতা তাঁকে অনুসরণ করলেন।
গুরুদের বাচ্চাদের বোঝাতে হবে : যখন প্রভু রাম অযোধ্যায় প্রবেশ করলেন, তখন অযোধ্যা ছিল উৎসবমুখর, সুসজ্জিত এবং আনন্দবিহ্বল। ঠিক তেমনই যখন আমরা আমাদের হৃদয়ে ভগবানকে স্বাগত জানাব, তখন আমাদের হৃদয় পবিত্র ও পরিষ্কার রাখতে হবে, মূল্যবোধ ও সদগুণ দিয়ে হৃদয়কে সজ্জিত করতে হবে – যা ভগবানকে খুশি করবে।
শিক্ষণীয় মূল্যবোধ : অন্তর্স্থিত মানবিক মূল্যবোধগুলি সম্বন্ধে সচেতন হয়ে, সেগুলির অনুশীলন করা, এই মূল্যবোধের অনুশীলনই হল দৈনন্দিন জীবনের এডুকেয়ারের সারাংশ।
[গুরুদের দীপাবলী উৎসবের সাথে এই ঘটনাকে মেলাতে হবে, আর বিস্তারিত ভাবে বলতে হবে কিভাবে অযোধ্যাবাসীগণ রামের প্রত্যাবর্তনে সারা রাজ্য প্রদীপ দিয়ে সাজিয়েছিল। প্রদীপ জ্বালাবার অভ্যন্তরীণ তাৎপর্য হল – অশুভের ওপর শুভের জয় / অজ্ঞতার ওপর জ্ঞানের জয়, এগুলি বাচ্চাদের বয়স ও বুদ্ধির মাত্রার উপর নির্ভর করে বোঝাবেন।]
এইভাবে রাম রাজ্যের শুরু, যা চিহ্নিত হয় সত্য ও সদাচারের অনুশীলনের মাধ্যমে এবং যার ফলস্বরূপ মানুষের জীবন শান্তি ও আনন্দে পরিপূর্ণ হয়।
(গল্পটির বর্ণনা শিশুদের রামকথা রস বাহিনী – ভাগ ১,২ ও ৩ থেকে সংগৃহীত)