উত্তিষ্ঠোতিষ্ঠ
Audio
কথা
- উত্তিষ্ঠোতিষ্ঠ পর্তীশা
- উত্তিষ্ঠ জগতীপতে।
- উত্তিষ্ঠ করুণাপূর্ণ,
- লোকমঙ্গল সিদ্ধয়ে।।
অর্থ
জাগো, জাগো হে পর্তীপতে (পূত্তাপর্তী,
উঠ হে জগৎপতি, সর্বমানবপতি (জগতের পতি),
জাগো হে করুণাসাগর,
.পৃথিবী তোমা হতে মঙ্গল লাভ করুক।।
Explanation
উত্তিষ্ঠোতিষ্ঠ | উত্থিত হও,জাগো |
---|---|
পর্তীশা | পর্ত্তীর প্রভু |
জগতী | পৃথিবীর |
পতে | প্রভু |
করুণাপূর্ণ | দয়াময় |
লোক | পৃথিবীর |
মঙ্গল | মঙ্গল |
সিদ্ধয়ে | অর্জন করা |
আন্তর তাৎপর্য্য
আত্মা দেহের প্রভু ,তা জন্ম মৃত্যুর অতীত,।আত্মা অমর।( জ-যম,গত-মৃত্যু,পতে-প্রভু ) সুতরাং জগতীপতে অর্থ যিনি জন্ম মৃত্যুর অতীত।আত্মা প্রেমময় আমরা শুধু দেহ নই আমরা সেই শাশ্বত আত্মা ,এই সচেতনতা নিয়ে কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করলে অন্তর থেকে প্রেম আপনি নিঃসারিত হয়।.
আন্তর তাৎপর্য্য :
উত্তিষ্ঠ+ উত্তীষ্ঠ জাগো, হে আমার অন্তরস্থিত পরমাত্মা। যেমন তুমি পুত্তাপুর্তীর অনুর্ব্বর উইডিবি পূর্ণ, সাপ অধ্যুষিত ভূমিকে সম্পদশালী সুন্দর এবং শান্তির আলয় প্রশান্তি নিলয়মে পরিণত করেছ তেমন আমার মধ্যেকার সর্প রূপী কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ এবং মাৎসর্য্য দূর করো। আমি যেন তোমার দয়ার সাগরে নিমজ্জিত হই। আমার উপস্থিতি অন্যের কাছে যেন পবিত্র রূপে পরিগণিত হয়। (লোক মঙ্গল সিদ্ধয়ে )
জগতীপতে —জ-জন্ম গতি-মৃত্যু পতে- প্রভু তুমি জন্ম-মৃত্যুর অতীত শাশ্বত পরমাত্মা
ব্যাখ্যা :
যখন সদ্গুরু আমাদের চৈতন্য প্রদান করেন, অজ্ঞতার অন্ধকার কেটে গিয়ে পবিত্র প্রভাত নিজেকে প্রকাশ করে। তিনি দর্শন,স্পর্শন এবং সম্ভাষণের দ্বারা আমাদের চৈতন্য জাগ্রত করেন। তিনি আমাদের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যান তার করুণায় আমরা অন্তরস্থ দিব্যত্বের উন্মেষ ঘটানোর জন্য সাধনা শুরু করি। আন্তর তাৎপর্য্যকে স্মরণে রেখে প্রতিদিন সুপ্রভাতম পাঠ করলে আমরা সেই দিব্য লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি। সুপ্রভাতমে উল্লেখিত জাগ্রত করা (উত্তিষ্ঠ) শব্দটির অন্তর্নিহিত এবং নিগূঢ় অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গল্পে উল্লেখিত গুরু সেন রাজা ধীরাজকে দেখিয়েছিলেন তার রাজ্যের কি অসীম ধন ভাণ্ডার সঞ্চিত আছে। আমরা ঈশ্বরের সন্তান আমাদের গুরু এই সত্য সম্বন্ধে আমাদের সচেতন করেন। যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন, “তোমাদের অন্তরেই ঈশ্বরের রাজত্ব”। সকল শক্তি সকল গুণ আমাদের অন্তরেই আছে ।অজ্ঞতার মায়াজাল থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হবে। প্রেমময় করুণাময় গুরু নিরন্তর আমাদের পথ প্রদর্শন করছেন। তিনি বলেছেন, “আমি ঈশ্বর ঈশ্বর এই সত্যকে উপলব্ধি করো। আমার দিকে এক পা অগ্রসর হও আমি তোমাদের দিকে একশো পা এগিয়ে যাব। আমাদের ষড় রিপুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে ।আমরা যত সজাগ হব, যত সাবধান হব, আমাদের চিন্তা ও তত পবিত্র হবে।সাত্ত্বিক চিন্তা আমাদের মনের গভীর থেকে গভীরতর স্তরে পৌঁছতে সাহায্য করবে। আমাদের সাধনাও গভীর হবে ।আমাদের অন্তর্বাসী ঈশ্বর জাগরিত হয়ে আমাদের সমাজের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করেন।সেবা আমাদের দরিদ্র, পীড়িত, আর্ত– ঈশ্বরের সকল সৃষ্টির সঙ্গে একাত্ম হতে শেখায়।