বন্য প্রাণীদের জন্য ভাবনা করা
ধাপ ১:“প্রথমে নিজেদের চেয়ারে আরাম করে বোস অথবা মাটিতে বাবু হয়ে বোস। শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে ও মাথা যেন উঁচু থাকে, সেদিকে খেয়াল রেখ। গভীর শ্বাস নাও ও শ্বাস ছাড়ার সময় নিজেকে শান্ত রাখ। আবার গভীর শ্বাস নাও…আবার নাও…”
ধাপ ২:“এবার শরীর থেকে সমস্ত আড়ষ্টতা দূর করে দাও। পায়ের আঙুলগুলি লম্বা করো ও শিথিল করো।পায়ের ডিমের পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো।পায়ের উপরিভাগের ও ঊরুর পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো। পেটের পেশী ভিতরে টেনে নাও ও শিথিল করো।কাঁধ পিছনে নিয়ে যাও ও শিথিল করো।কাঁধ উপরে ও নীচে ঝাঁকাও। বাঁদিকে চাও, সামনে চাও, ডানদিকে চাও। সামনে চাও। এবার মুখের পেশী কুন্চিত করো ও শিথিল করো।অনুভব করো তোমার শরীর থেকে সমস্ত আড়ষ্টতা চলে গেছে। তোমার ভাল লাগছে।:
ধাপ ৩:“পঞ্চ ইন্দ্রিয়গুলি সম্পর্কে সচেতন হও: ঘরে বাতাসের গন্ধ, মুখে জলের স্বাদ, পায়ের তলার শক্ত মাটি ও ত্বকে বাতাসের স্পর্শ। এবার চারপাশের জিনিসপত্র দেখে বা ঘরের শব্দ শুনে তোমার মনোযোগ যাতে ব্যহত না হয়, তার জন্য চোখ বন্ধ করো। (দুই এক মিনিট থেমে যাও)। ঘরের বাইরের শব্দ শোন। তোমার শ্রবণ শক্তিকে তার শেষ সীমা অবধি টেনে নিয়ে যাও।”
ধাপ ৪: মনে করো তুমি গ্রামের পথ ধরে হাঁটছ… তোমার পায়ের তলায় নরম মাটি। রাস্তাটির দুধারের গাছের ডালপালা যেন মাথার ওপর তোরণ সৃষ্টি করে তোমায় শীতল ছায়া দিচ্ছে…তার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়ে রাস্তার মাঝে মাঝে সোনালি আল্পনা এঁকে দিয়েছে। পাখীরা মনের সুখে গান গাইছে। কান পেতে তাদের গান শোন। দেখ, তারা একগাছ থেকে আরেক গাছে উড়ে যাচ্ছে… চড়ুই পাখীটিকে দেখো, সে তোমার কাছেই, পথের ধারে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে…তারা জীবনের আনন্দ উপভোগ করছে। তুমিও আনন্দ পাচ্ছ।
ধাপ ৫:“এবার তোমার মনোযোগ ক্লাসে ফিরিয়ে আন। চোখ খোল ও হাত পা মেলে দাও। অনুশীলন শেষ হয়েছে। তোমার পাশে যে আছে, তার দিকে চেয়ে হাস ও তাকে আজকের তারিখ ও সময় বলো।”
(এই শান্ত হয়ে থাকার অনুশীলনের পর ছাত্ররা তাদের অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইতে পারে। এই ব্যাপারে তাদের উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে তাদের জিজ্ঞেস করা উচিত যে তাদের কেমন লাগল। সৃজনশীল কাজের জন্যও এখন খুব ভাল সময়। ওরা হয়তো ওদের অভিজ্ঞতার ছবি আঁকতে চাইতে পারে)
[‘সত্য সাই এডুকেশন ইন হিউমান ভ্যালুজ’ থেকে গৃহীত ও BISSE Ltd দ্বারা প্রকাশিত।]