প্রকৃতির প্রতি প্রেম
ধাপ ১:“প্রথমে নিজেদের চেয়ারে আরাম করে বোস অথবা মাটিতে বাবু হয়ে বোস। শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে ও মাথা যেন উঁচু থাকে সেদিকে খেয়াল রেখ। গভীর শ্বাস নাও ও শ্বাস ছাড়ার সময় নিজেকে শান্ত রাখ। আবার গভীর শ্বাস নাও… আবার নাও…”
ধাপ ২:“পঞ্চ ইন্দ্রিয় সম্পর্কে সচেতন হও: ঘরের মধ্যে বাতাসের গন্ধ, মুখের ভিতর জলের স্বাদ, পায়ের তলার শক্ত মাটি ও ত্বকে বাতাসের স্পর্শ। এবার ঘরের মধ্যেকার জিনিসপত্র দেখে বা ঘরের নানা শব্দ শুনে তোমার মনোযোগ যাতে ব্যহত না হয়, তার জন্য চোখ বন্ধ করো। (দুই এক মিনিট থেমে যাও)। ঘরের বাইরের শব্দ শোন। তোমার শ্রবণ শক্তিকে তার শেষ সীমা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাও।”
ধাপ ৩:মনে করো তুমি মাটির তলায় থাকা একটি ছোট্ট বীজ…চারিদিক অন্ধকার, তুমি জলের খোঁজে তোমার শিকড় নামিয়ে দিচ্ছ…তুমি ঠেলে ওপরে উঠতে চাইছ, যদিও তুমি কী খুঁজছ তুমি জানোনা। হঠাৎ তুমি মাটি ভেদ করে আলোর মধ্যে বেরিয়ে এলে …তোমার ভীষণ ভাল লাগছে! সূর্য তোমাকে উষ্ণতা দিচ্ছে, তুমি আরো বেড়ে উঠছো… তোমার শরীর স্বাস্থ্যে ভরপুর, তুমি শক্তিমান…
মাটির তলায় ঢুকে আসা বৃষ্টিকে অনুভব করো,তুমি সেই ক্লান্তি দূর করা জল পান করছো
অনেকটা বড় হওয়ার পর তুমি বুঝতে পারছ তোমার সত্য পরিচয় কী… তুমি হয়তো ফুল অথবা, গাছ অথবা সব্জি বা ঝোঁপ…নিজের মনে নিজের ছবি আঁকো, নিজেকে দেখে মুগ্ধ হও…কী সুন্দর তুমি, সূর্য ও বৃষ্টির সহায়তায় মাটি থেকে তোমার উদ্ভব হোলো
ধাপ ৪:“এবার তোমার মনোযোগ ক্লাসে ফিরিয়ে আন। চোখ খোল। হাত পা মেলে দাও। অনুশীলন শেষ হয়েছে।তোমার পাশে যে আছে, তার দিকে চেয়ে হাস। তাকে তারিখ ও সময় জানাও।”
(এই অনুশীলনের পর ছাত্ররা তাদের অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইতে পারে। এই ব্যাপারে তাদের উৎসাহ দেওয়া উচিত। বিশেষ করে তাদের জিজ্ঞেস করা উচিত যে তাদের কেমন লাগল। সৃজনশীল কিছু করার জন্যও এটি ভাল সময়। ওরা নিজেদের অভিজ্ঞতার ছবি আঁকতে চাইতে পারে।)
[‘সত্য সাই এডুকেশন ইন হিউমান ভ্যালুজ’ থেকে গৃহীত ও BISSE Ltd দ্বারা প্রকাশিত।]