শান্তি
শান্তির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাবা বলেছেন, “মানুষের অনুভবে যত দ্বিধা, দ্বন্দ্ব রয়েছে তাকে প্রাথমিক ভাবে শান্তির মানসিকতায় নিয়ে যাওয়াই শান্তি।” আমাদের মানস সরোবরের নিস্তরঙ্গ জলে যে ঢেউগুলি উঠে তাকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে তার স্রষ্টা আমাদের বাসনাগুলি। যে মন বাসনা মুক্ত হয়,তা শান্তির অবস্থায় ফিরে যায়। মন শান্ত হলে তবেই প্রজ্ঞার উন্মেষ হওয়া সম্ভব। একমাত্র প্রজ্ঞার আলোকে ভাস্বর মনের সাহায্যেই প্রশান্তি লাভ ও অনুভব করা যায়। শান্তির এই উচ্চতর অবস্থাই,আনন্দ।
সহ্যগুণের বৃদ্ধি, সুখ দুঃখকে সমান ভাবে গ্রহণ করা ও তার জন্য মনের শান্তি বিঘ্নিত না হতে দেওয়া, আত্মশক্তিতে অবিচল বিশ্বাস এবং ভাগ্যের রক্ষা ক্ষমতায় আস্থা,পার্থিব জগত থেকে মনকে ক্রমঃশ দূরে সরিয়ে এনে ঈশ্বরের প্রেমে তাকে যুক্ত করা ও প্রত্যহ তাঁকে স্মরণ করা ও তাঁর ধ্যান করা‐‐‐– প্রশান্তি লাভে এগুলি অবশ্যই সাহায্য করবে।
চিন্তায় প্রেম হল শান্তি। যখন মানুষের চিন্তা, বাক্য ও ক্রিয়া ধর্মনিষ্ঠ হয়,তখন তার বিবেক নির্মল হয় এবং সে অন্তরে শান্তি অনুভব করে।বলা হয় যে জ্ঞানই শক্তি; কিন্ত ধর্ম হল শান্তি।