ভক্তি
ভক্তি
বিভিন্ন প্রকারে ভালোবাসার প্রকাশ হয়ে থাকে
- ১. বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা- বন্ধুত্ব
- ২. মায়ের ভালোবাসা- স্নেহ
- ৩. দরিদ্র মানুষের প্রতি ভালোবাসা- সহমর্মিতা
- ৪. গুরুজনদের প্রতি ভালোবাসা- শ্রদ্ধা
- ৫. দেশের প্রতি ভালোবাসা- দেশাত্মবোধ
- ৬. ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা- ভক্তি
ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা হ’ল ভক্তি-
আমরা সকলেই আমাদের পিতা- মাতাকে ভালোবাসি। মায়ের প্রতি কীভাবে আমরা ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারি? সেই সব কাজ ক’রে তা তাঁকে তুষ্ট করে। তাই নয় কি? ভগবান হলেন লোকমাতা যিনি আমাদের আনন্দের জন্য পাঁচটি বস্তু,পাঁচটি গুণ, পাঁচটি মূল্যবোধ, পাঁচটি সম্পদ প্রদান করেন। কীভাবে তাঁর প্রতি আমরা ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারি?
- . প্রার্থনার মাধ্যমে- ভগবানের ঈশ্বরিক গুণাবলীর সংকীর্তনের মাধ্যমে আমরা তাঁর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। দিব্যনাম সংকীর্তন মানসিক শান্তি, সংহতি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভগবান, যিনি ধর্মের প্রতিমূর্তি, তাঁর কাছে সমহ্ত কাজ শুরু করার আগে আমাদের প্রার্থনা জানানো উচিৎ।
কীভাবে প্রার্থনা করা উচিৎ?
- প্রকৃত ও সুগভীর ভক্তি থাকতে হবে। ভক্তি প্রকৃত ও গভীর হ’লে ভগবান আমাদের রক্ষা করতে আসবেন। ভক্তি একাধারে প্রকৃত প্রেম, গভীর বিশ্বাস, ভালো আচরণ, মহৎ চিন্তা ও সম্পূর্ণ আত্মনিবেদন কে ত্বরাণ্বিত করে। সম্পূর্ণ ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়ে ভগবানের নামোচ্চারণ তাঁর দিব্য আশীর্বাদকে বহন ক’রে নিয়ে আসে।(২৩ নভেম্বর, ১৯৬৮)
[Source-DD 23rd Nov 1968]
গুরুরা প্রহ্লাদ, দ্রৌপদী, গজেন্দ্র, নারদ, হনুমান, শবরীর ভক্তিসম্বলিত কাহিনী ও নববিধ ভক্তি ( নয় প্রকার ভক্তি ) সম্বলিত গল্পগুলি বলতে পারেন ।
- ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে-ভগবানের চরণে আমাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা উচিত । ভগবানের নাম নিয়ে কোন কাজ শুরু ক’রে সেই কিজ সম্পূর্ণ হবার পর ভগবানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা কি আমাদের উচিত নয়?
- পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে- তৈত্তিরীয় উপনিষদের মূল মন্ত্র হল ‘ মাতৃদেব ভব, পিতৃদেব ভব ‘। পিতা মাতাকে সর্বদা সম্মান করা উচিত কারণ তাঁরা পৃথিবীতে ভগবানের অপর রূপ।
- যেকোন কাজে পূর্ণ আত্মনিয়োগ- কর্মই হ’ল পূজা। আমরা যদি আমাদের কাজ বা কর্তব্য পূর্ণ আত্মনিয়োগ ও উৎসাহ সহকারে করি, সেটা একপ্রকার ভক্তি। কর্তব্যই ঈশ্বর, কর্ম হ’ল পূজা।