বায়ু

Print Friendly, PDF & Email
Guided Visualisation Air

বায়ু

প্রিয় মিষ্টি ছেলেমেয়েরা,

‘সো’ এবং ‘হম্’ উচ্চারণ করো। যখন তুমি ‘সো’ বলো তখন তুমি প্রশ্বাস নাও অর্থাৎ বাতাস শরীরে গ্রহণ করো এবং যখন তুমি ‘হম’ বলো তখন তুমি প্রশ্বাস ছাড়ো অর্থাৎ ভিতরের বাতাস বাইরে নির্গত করো।

ঈশ্বর সৃষ্ট বায়ু একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কোনো প্রাণী এক মুহূর্তও বাতাস ছাড়া বাঁচতে পারেনা। বাতাসকে আমরা বায়ুদেবতা রূপে পূজো করি। এখন আমরা আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ করবো।

আমরা সুন্দর সুগন্ধি ফুলে ঘেরা একটি অপূর্ব বাগানে প্রবেশ করছি। বাগানের একদিক জুঁই ফুলে ভরা যখন পথের দুপাশ সুন্দর ভাবে গোলাপ ফুলে সজ্জিত রয়েছে।

শীতল বাতাস বইছে। এই বাতাস ফুলের সুন্দর সুবাস বয়ে নিয়ে চলেছে। এই বাতাসে আমাদের শরীর শীতল ও সতেজ হয়ে উঠলো। গাছে গাছে পাখির কূজনে বাতাস মুখরিত। আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রশংসা করতে করতে বাগানে ভ্রমণ করছি।

ওহ্ কাছেই কেউ একজন বাঁশি বাজাচ্ছে। যখন সেই সুর আমাদের কানে প্রবেশ করছে, আমরা কী ভীষণ শান্তি পাচ্ছি। এই সম্পূর্ণ পরিবেশ আমাদের প্রাণে শক্তিতে ভরপুর করে তুলছে। আমরা আমাদের চারিদিকে ভালোবাসা ও আনন্দের আলোর বার্তা পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমাদের এই বাতাসের মত হওয়া উচিত। ধনী দরিদ্র, মানুষ ও পশুপাখি, উদ্ভিদ জগৎ ও প্রাণী জগৎ সকলের কাছেই বায়ু সহজলভ্য অর্থাৎ সকলের কাছেই সে সহজেই পৌঁছে যায়।

শীতল ও বিশুদ্ধ বাতাসের মত
আমাদের হাসি দিব্য আনন্দে পরিপূর্ণ হোক
এবং তার চরণকমল সর্বদা অন্তরে অধিষ্ঠিত থাকুক।

এখন, তোমার হাতের দুই তালু ঘর্ষন করো ও তোমার চোখদুটি হাত দিয়ে মালিশ করো, মুখটা মোছো ও তোমার চোখ খোলো।

ক্লাসের আলোচনা:
প্রশ্ন:

১। বাতাসের অন্য নাম কি?

২। বাতাসের গুরুত্ব আলোচনা করো।

[রেফারেন্স: ‘সাইলেন্স টু সাই- লেন্স’- হ্যান্ড বুক ফর চিল্ড্রেন, পেরেন্টস এ্যান্ড টিচারস্’- লেখক চিত্রা নারায়ণ এবং গায়েত্রী রামচরন সাম্বু এম এস কে, এ ইন্সটিটিউট অফ সত্য সাই এডুকেশন – মরিসাশ পাবলিকেশনস]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।