বায়ু – 1

Print Friendly, PDF & Email
বায়ু – ১

ভূমিকা

বায়ু একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক উপাদান। কোন প্রাণী বায়ু ছাড়া একদণ্ড বাঁচতে পারে না। আমাদের পূর্বপুরুষেরা বায়ুকে দেবতারূপে পূজা করতেন। বায়ুর দুটি

গুণ

শব্দ ও স্পর্শ। বায়ুর বৈশিষ্ট্য হল সে সর্বত্র থাকে কিন্তু কোন একটি জায়গার সঙ্গে যুক্ত থাকে না। ধনী-দরিদ্র, জীবজন্তু , জীব ও উদ্ভিদ নির্বিশেষে সকলকে সমান ভাবে পরিষেবা প্রদান করে। তার ভালবাসা সর্বজনীন। বায়ুর অস্তিত্ব ছাড়া সুমধুর সংগীত শ্রবণ করা অসম্ভব।

গল্প

এক দেশে এক রাজা ছিলেন। তিনি সব সময় সকলের ভাল করতেন। একদিন তিনি ঘোষণা করলেন, যদি কারোর কোনো পণ্য বাজারে বিক্রি না হয়, তাহলে তিনি সেটি কিনে নেবেন। একদিন একটি লোক একটি শনি দেবের মূর্তি বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে এলো। এই মূর্তি বাড়িতে রাখার জন্য কেউ কিনল না। তাঁর কথামতো রাজা মূর্তিটি প্রাসাদে নিয়ে এলেন। সেই রাত্রে লক্ষ্মীদেবী রাজার স্বপ্নে এসে বললেন যে তিনি রাজপ্রাসাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছে কারণ শনিদেবের সঙ্গে তিনি এক গৃহে থাকতে পারবেন না। রাজা বললেন, “তথাস্তু, আমি নিজের প্রতিজ্ঞা রাখতে এবং সত্যকে রক্ষা করতে এই কাজ করেছি।’ কিছুদিন পর ধর্মরাজ রাজার সম্মুখে আবির্ভূত হয়ে শনিদেবের উপস্থিতির কারণে তার রাজপ্রাসাদ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানালেন। রাজা তাকে একই উত্তর দিলেন এবং তাকে বাধা দিলেন না। এরপর এলেন সত্যদেব। তিনিও চলে যেতে চাইলেন এবার কিন্তু রাজা তাকে যেতে দিলেন না বললেন আমি তো আপনাকে যেতে দিতে পারি না কারণ আপনার জন্যই আমি লক্ষ্মী এবং ধর্মকে যেতে দিয়েছি সুতরাং সত্যের আর চলে যাওয়া হলো না। তার দেখাদেখি লক্ষ্মী এবং ধর্মও ফিরে এলো।

মূল্যবোধের গান

প্রাণের খুশীর ঝলকানি লেগে
হাসি যদি করে ঝলমল
বাতাসের মত স্বচ্ছ সে হবে
হবে সে স্নিগ্ধ সুশীতল।
খুশী ভরা মোর হাসির টানে
অনায়সে পাব হাতের নাগালে
মিনি ঋষিদের আয়াস সাধ্য
প্রভুর চরণ শতদল।
হাসি যদি করে ঝলমল।
(২) আমি তোমার প্রাণবায়ু ওগো
আমিই তোমার শ্বাস
খর তাপে আমি মলয় বায়ু
সুশীতল বাতাস।
(৩) তরুর গন্ধ ফুলের সুবাস
পাখীর যত গীত,
বায়ু হয়ে আমি বহি হিল্লোলে
ছড়াইয়া দিই আগাছার দোলে –
শব্দ গন্ধ বহিয়া বেড়াই
রচি নব সংগীত।

নীরব উপবেশনঃ

শিশুদের একটি সুন্দর বাগানে মানসভ্রমণে নিয়ে যেতে হবে। চোখ বুজে তারা সেখানে বসবে এবং চিন্তা করবে – “আমি একটি সুন্দর বাগানে বসে আছি। ঠান্ডা বাতাস বইছে, বাতাসে ফুলের সুবাস। আমার সমস্ত দেহমন তাজা এবং শীতল হয়ে যাচ্ছে। আমি চতুর্দিকে প্রেম এবং আনন্দ বিতরণ করছি। কেউ কাছেই বাঁশি বাজাচ্ছে। এই সুরের মূর্ছনা আমাকে শান্তি দিচ্ছে। পাখিরা গাছের ডালে বসে গান গাইছে। সমস্ত পরিবেশ থেকে আমি শক্তি আহরণ করছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।