অগ্নি – 2
অগ্নি – ২
একটি ঘটনার কথা বাচ্চাদের বলা হবে। একবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পিকনিকে গিয়েছিল। তারা রান্না করবার জন্য চাল, ডাল, মশলাপাতি,আনাজপাতি সবকিছু নিয়ে গিয়েছিল।একটা পাহাড়ী ঝরণার ধারে তারা বনভোজনের আয়োজন করল। সব ব্যবস্থাই হল কিন্তু রান্না আর হল না। একটা ভীষণ প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে তারা ভুলে গিয়েছিল। বলতো কি সে জিনিস? সেটা হলো একটা দেশলাইয়ের বাক্স। আগুন জ্বালাবার আর কোন উপায় ছিল না ওদের কাছে, তাই রান্না হল না।
প্রশ্ন
- কে সূর্য সৃষ্টি করেছেন?
- রান্না করা ছাড়া আর কি কি কাজে আগুন ব্যবহার করা হয়?
- কখন আলোর প্রয়োজন হয়?
- দিনের বেলা আমরা কিভাবে আলো পাই?
- সূর্য আমাদের আর কি কি দেয়?
গান
জ্বল্ জ্বল্ জ্বল্ জ্বলিছে বহ্ণি
নিশিথিনী বুকে শিখাটি তন্বী।
প্রাণস্পন্দন আলোকের মাঝে
বিষাদ আঁধারে মৃত্যু বিরাজে।
যত উৎসাহ শক্তি হাস্য
অগ্নি তাদের সবার উৎস।
জনম হতে মরণ পর্যন্ত্য
অগ্নিই সাথী সে যে অনন্য।
শুরু থেকে শেষে , সেই থাকে পাশে
তাবৎ চাহিদা মেতে অনায়াসে।
দুর্জয় শীতের মাঝে উষ্ণতার ওম্
বড় মনোরম।
সেও তো তারই দান।
জলের চেয়েও লঘু সর্ব্ব্যাপী সে
পবিত্রতা ধর্ম তার শুদ্ধকারী সে।
দলগত কার্যক্রম
ছেলে মেয়েদের কয়েকটি দলে ভাগ করা হবে। প্রত্যেক দলকে এক একটি প্রশ্ন দেওয়া হবে। ওরা সম্ভাব্য উত্তরগুলো লিখবে। প্রত্যেক দল থেকে একজন উপস্থাপনা করবে।
প্রশ্ন
- আমরা আলোর কোন উৎস ব্যবহার করি?
- আমরা আগুন কি পুড়িয়ে ফেলি?
- আগুন কোন জিনিসকে পবিত্র করে?
নীরব উপবেশন
শিশুরা শান্ত হয়ে চোখ বন্ধ করে বসবে। গুরু বলবেন – “ছেলেমেয়েরা, রাত্রি প্রভাত হয়েছে। বিছানা থেকে উঠে সকালের প্রার্থনা গুলো কর। দেখ, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উদীয়মান। তাকে প্রণাম কর। সূর্য উঠেছে, রাতের অন্ধকার কেটে গিয়ে ধীরে ধীরে চারিদিকে আলো ফুটছে। প্রভাতী সূর্যের উষ্ণতা অনুভব কর। নিজের জামাকাপড় উষ্ণ জলে কেচে নিয়ে,শুকতে দাও। সূর্যের উত্তাপে জামাকাপড় ধীরে ধীরে শুকনো হয়ে যাবে। সারাদিন সূর্য আমাদের আলো আর শক্তি যোগাবে। এবার মা তোমাকে আগুনের সাহায্যে রান্না করা গরম প্রাতরাশ দেবেন। বাড়িতে জমাদার আসবে। জঞ্জাল সংগ্রহ করে সে এক জায়গায় জমা করবে; তাতে আগুন ধরিয়ে নষ্ট করে দেবে যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়। সূর্য এখন মধ্যগগনে। তার উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। দুপুরবেলা আবার আগুনের সাহায্যে রান্না করা খাবার মা তোমাকে দেবেন। সন্ধ্যা হল; আকাশে চাঁদ উঠল। এবার চাঁদের আলোয় পৃথিবী ভরে গেল। বাড়ীতে বিজলী বাতি জ্বলল। সেই আলোয় তুমি সব কাজ করতে পারলে। মা ঠাকুর ঘরে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালালেন। প্রার্থনা করার জন্য তোমার ঠাকুর ঘর তৈরি।
প্রার্থনা
“অসতো মা সদ্গময়
তমসো মা জ্যোতির্গময়
মৃত্যোর্মা অমৃতংগময়।
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ “