দান
শান্ত থাকার সময়– দান
দানের শক্তি উপলব্ধি করা
(গুরুমা ধীরে ধীরে অনুশীলনীটি পড়বেন। ডটের জায়গাগুলিতে থামতে হবে। চাইলে ঘরে মৃদু সঙ্গীত বাজানো যেতে পারে)।
ধাপ ১: “প্রথমে নিজেদের চেয়ারে আরাম করে বোস অথবা মাটিতে বাবু হয়ে বোস। শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে ও মাথা উঁচু থাকে সেদিকে খেয়াল রেখ। গভীর শ্বাস নাও ও শ্বাস ছাড়ার সময় নিজেকে শান্ত রাখ। আবার গভীর শ্বাস নাও…আবার নাও…।”
ধাপ ২: এবার শরীর থেকে সব আড়ষ্টতা দূর করে দাও। পায়ের আঙুলগুলি লম্বা করো ও শিথিল করো। পায়ের ডিমের পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো।পায়ের উপরিভাগের ও ঊরুর পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো। পেটের পেশী ভিতরে টেনে নাও ও শিথিল করো। কাঁধ পিছনে নিয়ে যাও ও শিথিল করো। কাঁধ উপরে ও নীচে ঝাঁকাও। বাঁদিকে চাও, সামনে চাও, ডানদিকে চাও, সামনে চাও। এবার মুখের পেশী কুন্চিত করো ও শিথিল করো। অনুভব করো যে তোমার সারা শরীর শিথিল হয়ে। গেছে– সব আড়ষ্টতা চলে গেছে।
ধাপ ৩: ঘরে যে তুমি রয়েছ সে বিষয়ে সচেতন হও…
একটা ভাল লাগার অনুভূতিকে সারা ঘরময়, পুরো বাড়ীতে…শহরে ছড়িয়ে দাও। এবার কল্পনা করো যে একটা আনন্দ ও সুখের অনুভূতি বাড়তে বাড়তে, সারা পৃথিবীকে ঢেকে ফেলছে… সেখানে সবাই তোমার ভাই বা বোন… সবার ভালবাসা প্রয়োজন। আমরা প্রত্যেকে ভালবাসা পাবার যোগ্য…
এমন একটা সময়ের কথা চিন্তা করো যখন, তুমি পরিবর্তে কিছু পাবার আশা না করে কারুকে কিছু দিয়েছিলে… আবার একটা এমনই সময়ের কথা ভাব, আবার একটা এমন সময়ের কথা ভাব…
তুমি স্বার্থপর না হয়ে কারুকে কিছু দিতে পেরেছ, তার জন্য নিজেকে অভিনন্দন জানাও… প্রতিজ্ঞা করো যে ভবিষ্যতে মনকে আরো বড় করবে, আরো দানশীল করবে… কীভাবে সেটা করবে তা নিয়ে চিন্তা করো…
ধাপ ৪: এবার তোমার মনোযোগ ক্লাসে ফিরিয়ে আন। চোখ খোল ও হাত, পা মেলে দাও। অনুশীলন শেষ হয়েছে। তোমার পাশে যে আছে, তার দিকে চেয়ে হাস।
[‘সত্য সাই এডুকেশন ইন হিউমান ভ্যালুজ’ থেকে গৃহীত ও BISSE Ltd দ্বারা প্রকাশিত।]