কৃতজ্ঞতা

Print Friendly, PDF & Email
নীরবতার সময়: — কৃতজ্ঞতা
আমার কাছে যা কিছু ভাল জিনিষ আছে,তার জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া

বিশ্বব্যাপী আলোকে দেখা

(অনুচ্ছেদগুলির মাঝে ও ডটের জায়গাগুলিতে থামতে হবে।)

ধাপ ১:“প্রথমে নিজেদের চেয়ারে আরাম করে বোস অথবা মাটিতে বাবু হয়ে বোস। শিরদাঁড়া যাতে সোজা থাকে ও মাথা যেন

উঁচু থাকে সেদিকে খেয়াল রেখ। গভীর শ্বাস নাও আর শ্বাস ছাড়ার সময় নিজেকে শান্ত রাখ।আবার গভীর শ্বাস নাও…আবার নাও..”

ধাপ ২:“এবার শরীরে যত আড়ষ্টতা আছে তা দূর করে দাও। পায়ের আঙুলগুলি লম্বা করো ও ছেড়ে দাও। পায়ের ডিমের পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো। তারপর পায়ের উপরিভাগের ও ঊরুর পেশী শক্ত করো ও শিথিল করো। পেটের পেশীগুলি ভিতরে টান ও শিথিল করো। কাঁধ পিছনে নিয়ে যাও ও শিথিল করো।কাঁধ উপরে ও নীচে ঝাঁকাও। বাঁদিকে চাও, সামনে চাও, ডানদিকে চাও, সামনে চাও। এবার মুখের পেশীগুলি সংকুচিত করো ও শিথিল করো। অনুভব করো যে তোমার সারা দেহ শিথিল হয়ে গেছে– সব আড়ষ্টতা চলে গেছে। তোমার ভাল লাগছে।”

ধাপ ৩:“মনে করো তুমি সমুদ্র তটে ঘুরে বেড়াচ্ছ…
সূর্যের উষ্ণ তাপ অনুভব করছো, হালকা হাওয়া তোমার গাল ছুঁয়ে যাচ্ছে…পায়ের তলায় নরম উষ্ণ বালি।
সবকিছুই খুব সুন্দর এবং তোমার খুব ভাল লাগছে….
দেখ ঢেউগুলি কেমন আলতো ভাবে তটে এসে পড়ছে…তোমার চারপাশের সবকিছুই সুন্দর…
এমন সমস্ত জিনিষের কথা ভাব যা তোমাকে আনন্দ দেয়, কিন্ত যার জন্য পয়সা লাগেনা বা, যার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে হয়না…
এমন লোকেদের কথা ভাব যারা তোমাকে ভালবাসে–তোমার পরিবার, তোমার বন্ধুরা, তোমার শিক্ষকেরা…
ভেবে দেখো এটা কতবড় আশীর্বাদ যে তুমি এত ভালবাসা পাচ্ছ, তোমার জীবনে কত সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে আছে…
তুমি যা পেয়েছ,তার জন্য খুশী হও ও কৃতজ্ঞ বোধ করো…”

ধাপ ৪:“এবার তোমার মনোযোগ ক্লাসে ফিরিয়ে আন। চোখ খোল, হাত, পা মেলে দাও, অনুশীলন শেষ হয়েছে।তোমার পাশে যে আছে, তার দিকে চেয়ে হাস।”

[‘সত্য সাই এডুকেশন ইন হিউমান ভ্যালুজ’ থেকে গৃহীত এবং BISSE Ltd. দ্বারা প্রকাশিত।]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।