মন্মনাভব মদ্ভক্তো – বিশদ পাঠ

Print Friendly, PDF & Email
মন্মনাভব মদ্ভক্তো – বিশদ পাঠ
মন্মনাভব মদ্ভক্তো মদ্যাজী মাং নমস্কুরু।
মামেবৈষ্যসি যুক্ত্বৈবমাত্মানং মৎপরায়ণঃ।।

(Chap.৯, Verse ৩৪)

তোমার সকল চিন্তা আমার উপর নিবদ্ধ করো, আমার প্রতি ভক্তিমান হও, আমার পূজা করো আমাকে নমস্কার করো। এইরূপে মৎপরায়ণ হয়ে আমাতে মন সমাহিত করলে আমাকে লাভ করবে।

বৃন্দাবনে গোপিনীদের মধ্যে একজন ছিলেন সগুণা। বৃন্দাবনের প্রতিটি গৃহে একটি প্রচলিত নিয়ম ছিল প্রত্যেকের নন্দের বাড়ির প্রদীপ থেকে আগুন নিয়ে নিজের নিজের বাড়ির সন্ধ্যা প্রদীপ প্রজ্জলন করত। সগুণা একদিন সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালাতে নন্দের বাড়িতে গেলেন। তিনি ছিলেন কৃষ্ণের বাল্যলীলার সাক্ষী।তাই সেই গৃহে প্রবেশ করে তিনি আত্মবিস্মৃত হলেন। চারিদিকে কৃষ্ণকেই দর্শন করতে লাগলেন। প্রদীপের আগুণে তাঁর হাতের আঙ্গুল পুড়ে যেতে লাগল কিন্তু তাঁর কোনো বোধই ছিল না। কৃষ্ণ চিন্তায় তাঁর দেহবোধ লুপ্ত হয়েছিল। যশোদা তার অবস্থা দেখে তার সম্বিত ফেরালেন। কৃষ্ণ প্রেমের এই উন্মাদনা, মন এবং হৃদয়ের এই একাগ্রতা হলো গোপিনীদের অনুরাগ ভক্তির লক্ষণ। তাঁদের এই ভক্তির জন্যই তারা শ্রীকৃষ্ণের এত প্রিয় হয়েছিলেন।

বাবা বলেন, “সকল জীবের অন্তরের আত্মারূপে ঈশ্বর বসবাস করেন। যদি এই বিশ্বাস নিয়ে নিজের জীবন অতিবাহিত করো তাহলে সেটাই হবে তোমার ধ্যান। দেখো, এই বিশ্বাস যেন অনড় থাকে। কখনো এই সত্য কে অবহেলা ক’রো না, কায়মনোবাক্যে এই বিশ্বাস বজায় রেখো। ঈশ্বর সবার মধ্যে আছেন। এই সত্যকে উপলব্ধি করলে তবেই বাবার বাণী – “সকলকে ভালোবাসো সকলের সেবা করো” অনুশীলন করা সম্ভব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।