ওঁ তৎ সৎ

Print Friendly, PDF & Email

ওঁ তৎ সৎ – বিশদ পাঠ

ঈশ্বরের বিভিন্ন নামের, বিভিন্ন অভিব্যক্তির অর্থ :

ওঁ- নিত্য, শাশ্বত পরমেশ্বরের, পরব্রহ্মের ধ্বনির প্রতীক, শব্দব্রহ্ম।

তৎ- ইন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধির অতীত যিনি।

সৎ- পরম সত্য যা হতে যাবতীয় উত্তব এবং যা সমগ্র সৃষ্টিতে পরিব্যাপ্ত হয়ে তাকে ধারণ করে রেখেছে।

শ্রী- লক্ষ্মী বা সৌভাগ্যের প্রতীক; দেবতা অবতার বা মহাপুরুষের নামের পূর্বে সম্মানসূচক পদ।

নারায়ণ-বিষ্ণুর নাম, সমস্ত জীবের ভিতরে সান্তামী রূপে বিরাজমান।

পুরুষোত্তম-পুরুষ শ্রেষ্ঠ, পরম পুরুষ যিনি রাগ ও দ্বেষ অর্থাৎ অনুরক্তি ও বিরাগভাব ব্যতীত এবং মহাভ্রান্তির অতীত।

গুরু-আদর্শ, স্বয়ং সম্পূর্ণ পুরুষ যিনি অন্যদের পূর্ণতার পথ দেখাতে পারেন। গুরু দত্তাত্রেয়র অনুগামীদের কাছে এটি ঈশ্বরের একটি নাম। মানুষের প্রকৃত সত্তা আত্মা সম্পর্কে যিনি মানুষকে সচেতন করেন, আত্মদর্শন করান সেই গুরুকে শিখধর্মে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান দেওয়া হয়েছে।

সিদ্ধ-মুক্ত পুরুষ জৈন ধর্মের লক্ষ্যস্থল।

বুদ্ধ-জ্ঞানীপুরুষ-বৌদ্ধ ধর্মের লক্ষ্যস্থল।.

স্কন্দ-পুর্ণতার পথে বাধা যিনি দূর করেন। দক্ষিণ ভারতে এক ধর্মসম্প্রদায় স্কন্দ দেবতার উপাসনা করে।

বিনায়ক-গণেশের অপর নাম।

সবিতা-সূর্য যিনি জগতকে আলো দিচ্ছে, সকল কাজের উদ্দীপক সূর্য দেবতা রূপে পূজিত হন।

পাবক-অগ্নি, ইনি দেবতা রূপে পূজিত, পাপ কলুষতা নাশক অগ্নিদেব জরয়্যাস্ট্রিয়ানদের উপাস্য।

ব্রহ্মা- সৃষ্টিকর্তা, বিষ্ণুর নাভি কমল উদ্ভূত ব্রহ্মা সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেন; ত্রয়ী দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর যথাক্রমে সৃষ্টি, পালন ও সংহার (অশুভ) কর্তা।

ব্রহ্ম- নিরাকার নিগুণ সর্বব্যাপী অখণ্ড চৈতন্য সত্তা যার থেকে সমগ্র সৃষ্টির, সমগ্র নামরূপ ও বহুত্বের উদ্ভব।

মজ্‌দা-অহুর মজদা-জরয়্যাস্ট্রিয়ানদের পরমেশ্বর।।

জীহোবা – ইহুদীদের ঈশ্বর।

শক্তি- পরমা প্রকৃতি ভগবতী।

যীশু (ইশু) পিতা –যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরকে স্বর্গস্থ পিতা বলে উল্লেখ করতেন।

প্রভু –Tপরমেশ্বর।

রুদ্র-শিবের এক নাম, অশুভ সংহার কর্তা।

বিষ্ণু –সর্বব্যাপী সার্বিক চৈতন্য স্বরূপ; বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পালন কর্তা।

রাম – বিষ্ণুর অবতার; ধর্ম স্বরূপ, আত্মানন্দ দায়ী।

কৃষ্ণ – বিষ্ণুর অবতার; প্রেমস্বরূপ।.

রহিম –করুণাময় আল্লাহর এক নাম, ইসলাম ধর্মের উপাস্য।

রহিম –করুণাময় আল্লাহর এক নাম, ইসলাম ধর্মের উপাস্য।

তাও – চীনবাসীদের উপাস্য দেবতা।

বাসুদেব –কৃষ্ণের অপর নাম।

গো – বাণী— ঈশ্বরের জ্ঞানালোকে দায়ী শক্তি; গোরক্ষ ব্রাহ্মণ ধর্মে পূজ্য গোমাতা।.

বিশ্বরূপ –সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যার ভিতরে প্রকাশমান; শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দিব্যচক্ষু দিয়ে এই রূপ দেখানোর কথা গীতায় উল্লেখ করা হয়েছে।

চিদানন্দ –চিৎ-পরম জ্ঞান, আনন্দ-পরম আনন্দ, পরমানন্দ স্বরূপ।

অদ্বিতীয় –এক ও অখণ্ড পরমসত্তা যা হতে বহু রূপ ও নামের প্রকাশ।

অকাল –যিনি কাল বা সময় অতিক্রান্ত, কালের উপরে যিনি –শিখ ধর্মীদের উপাস্য।

নির্ভয় – ভয়হীন যিনি, ভক্তদেরও অভয় প্রদান করেন।

আত্মলিঙ্গ –স্বয়ং স্রষ্টা এবং তাঁর সৃষ্টি; ভগবান তাঁর নিজের ভিতর থেকে সৃষ্টির প্রতীক লিঙ্গ উদ্ধব করেন।

শিব – অশুভ নাশক মঙ্গলময় শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ স্বয়ং শিবের ভিতর থেকেই উদ্ভূত হয়; স্রষ্টা এবং তাঁর সৃষ্টি এক।

প্রভু –শ্রী সত্য সাই সেবা সংস্থার প্রতীক চিহ্ন হল সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের প্রতীক চিহ্ন। এই সংস্থা সর্বপ্রকার ভাবধারাকে গ্রহণ করে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।