শান্ত হয়ে থাকার সময়: ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায়

Print Friendly, PDF & Email
শান্ত হয়ে থাকার সময়: ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায়

পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর
গুরুমা ধীরে ধীরে অনুশীলনীটি পাঠ করবেন। ডটের জায়গাগুলিতে থামতে হবে।
চাইলে নেপথ্যে মৃদু সঙ্গীত চালানো যেতে পারে।

প্রথমে নিজেদের চেয়ারে আরাম করে বোস অথবা মাটিতে বাবু হয়ে বোস। পিঠ যেন সোজা থাকে আর মাথা উঁচু, সেদিকে খেয়াল রেখ। গভীর শ্বাস নাও এবং শ্বাস ছাড়ার সময় মনকে শান্ত রাখ। চোখ বন্ধ কর অথবা অসুবিধা থাকলে নীচে মাটির দিকে চেয়ে থাক। আবার গভীর শ্বাস নাও, আবার নাও…

তোমার প্রিয় মিষ্টির কথা ভাব…

কল্পনা কর যে কেউ তোমাকে সেই দারুণ মিষ্টিটা দিচ্ছে…( থাম )

তার গন্ধটা কি দারুণ

কি সুন্দর রঙ

তারপর তোমাকে বলা হল, এখন মিষ্টিটা খেওনা…

মিষ্টিটা খাবার জন্য তুমি যদি সপ্তাহের শেষ অবধি অপেক্ষা করতে পার,তাহলে তোমায় দুটো দেওয়া হবে।

তুমি কি করবে?

তুমি কি যে মিষ্টিটা আছে, সেটাই খাবে, নাকি অপেক্ষা করে পরে তিনটে মিষ্টি খাবে?

তুমি ঠিক করলে তুমি অপেক্ষা করবে… অপেক্ষা করতে পেরেছ বলে নিজের পিঠ চাপড়াও….

আমার ছোট্ট ঘন্টার আওয়াজ শুনলে ধীরে ধীরে চোখ খোল, পাশে যে আছে, তার দিকে চাও ও হাসো।

আলোচনা:
  1. তুমি কি তখনই মিষ্টিটা খেলে, নাকি অপেক্ষা করলে? কেন?
  2. যদি তুমি তখনই সেটা খেয়ে থাক, তাহলে সপ্তাহের শেষে, তুমি তিনটে মিষ্টি পেতে পারতে ভেবে তোমার কেমন লাগবে?

(মূল: সত্য সাই এডুকেশন ইন হিউমান ভ্যালুজ, ক্যারল অল্ডারম্যান কৃত শিশুদের চরিত্রের বিকাশ ও মানসিক অক্ষর জ্ঞানের জন্য পাঠ্যক্রম। )

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: