মা: চলো, মন্দিরে ঈশ্বরকে নিবেদন করার জন্য কিছু মিষ্টি, ফল ও ফুল কেনা যাক। ঈশ্বরের কৃপায় তোমরা নতুন ক্লাসে যোগ দিতে চলেছো। (দ্রব্য সামগ্রী কেনাকাটা করে তখন তারা প্রায় মন্দির দ্বারে পৌঁছে গেছে। ঠিক তখন সন্তান কোলে একজন দরিদ্র মহিলা তাদের দিকে ছুটে আসলো।)
রবি: আরে! যাও যাও! এসব সামগ্রী আমরা ভগবানকে নিবেদন করবো।
(দরিদ্র মহিলাটি সেখানে দাঁড়িয়েই রইল।)
অজিত: আপনি এখনও এখানে দাঁড়িয়ে আছেন! মা, দেখো, ওরা একদৃষ্টে আমাদের ফলমিষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে। ওদের এখান থেকে চলে যেতে বলো।
মা ও ছেলে উভয়ে: আমরা সারাদিন কিছু খাইনি। আমাদের খুব ক্ষিদে পেয়েছে।
রবি ও অজিতের মা: তোমরা এই ফলগুলো নাও।
মা ও ছেলে উভয়ে: ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন মা।
(তারা ফলগুলো নিয়ে চলে গেলো।)
অজিত: মা, এটা তুমি কি করলে! তুমি মন্দিরে পূজো দেবে বলে ফলগুলো কিনলে আর সেগুলো এদের দিয়ে দিলে! এভাবে ভিক্ষা চেয়ে বেরানো এদের অভ্যেস।
রবি: আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি না রাখতে পারায় ঈশ্বর আমাদের ওপর রেগে যাবেন।
মা: না রবি, বরং ঈশ্বর আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হবেন।
রবি: সন্তুষ্ট হবেন! আমার তা মনে হয়না। কি ভাবে মা?
মা: যদি আমরা তাদের উপেক্ষা করতাম ও ফল মিষ্টি নিয়ে মন্দিরে পূজো দিতাম, তবে আমরা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করতাম।
অজিত: কিন্তু কেনো এমন হবে?
মা: মনে কর তুমি যদি রবিকে উপেক্ষা করে আমাকে আইসক্রিম খেতে দিতে, আমি কি খুশি হতাম?
অজিত: না, তুমি আমায় বকতে।
মা: একদম ঠিক। ঈশ্বরও ঠিক একই রকম। তাছাড়া তাদের দুজনকে কী ক্ষুধার্ত দেখাচ্ছিলো। মনে রেখো, প্রত্যেকের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করেন, প্রতিটি মানুষের মাঝে ঈশ্বরকে দেখো।
রবি ও অজিত: সত্যিই তাই মা। এখন আমরা বুঝতে পারলাম কিভাবে প্রতিটি প্রাণীর মাঝে ঈশ্বরকে দেখতে হয়।