আত্ম মর্যাদা
আত্ম মর্যাদা
১ম ধাপ: প্রথমে আরামদায়ক ভঙ্গিতে চেয়ারে বোসো অথবা মাটিতে সুখাসনে বোসো ।এব্যাপারে নিশ্চিত হও যে তোমার শিরদাঁড়া সোজা আছে ও মাথা উঁচু ও সোজা আছে ।একটা গভীর প্রশ্বাস গ্রহন করো ও নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শরীরকে শিথিল করো। আরও একবার গভীর প্রশ্বাস গ্রহন করো… এবং আরও একবার…
২য় ধাপ:এখন তোমার শ্বাস প্রশ্বাস সম্পর্কে সচেতন হও। ফুসফুস বা শ্বাসযন্ত্র পূর্ণ করে একটি গভীর প্রশ্বাস গ্রহন করো। তারপর তোমার সময় মত ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়ো। শান্ত ভাবে তোমার চোখদুটো বন্ধ করে রাখো এবং যখন তুমি প্রশ্বাস গ্রহন করবে তখন তুমি কল্পনা করবে যে একটা শুদ্ধ আরোগ্যদায়ী শক্তি তোমার শরীরে প্রবেশ করছে এবং তোমাকে আনন্দ ভালোবাসা ও শান্তিতে ভরে তুলছে ।যখন তুমি নিঃশ্বাস ছাড়ছো, কল্পনা করো যে তোমার যা কিছু অস্বস্তিকর অনুভূতি রয়েছে, যেমন – বিষন্নতা ক্লান্তি রাগ বিরক্তি ভয় একঘেয়েমি হিংসা অথবা আরও অন্য কিছু, সে সবকিছু তুমি নিঃশ্বাসের সঙ্গে ত্যাগ করলে এবং সব দুশ্চিন্তা ভুলে তুমি আনন্দের অনুভূতিতে পূর্ণ হলে ।তিন থেকে চার বার এটা করো। যা কিছু তোমাকে বিপর্যস্ত করতো সব একে একে তোমার নিঃশ্বাস ত্যাগের সাথে বাইরে বেরিয়ে যাবে ও ভেসে চলে যাবে ।
৩য় ধাপ: তুমি কোনো সঙ্গীত শুনতে শুনতে কল্পনা করো তুমি কোনো সুন্দর গ্রামাঞ্চলের কোনও জলাশয় বা উদ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে আছো। এই দেখ কত বৃক্ষরাশি আর ছোট ছোট গাছে ঘেরা সীমানা। সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল দিন ও মৃদুমন্দ উষ্ণ বাতাস বইছে। যদি তোমার মনে হয় এই পরিবেশ তোমার ভালো লাগছে তবে এই সুন্দর রাস্তা দিয়ে একটু পায়চারি করতে পারো। সব কিছু খুব সুন্দর ও তুমি আনন্দ ও সন্তুষ্টি অনুভব করছো। পথের পাশে সারি বেঁধে ফুটে থাকা উজ্জ্বল ফুলগুলির দিকে তাকাও। তোমার চারপাশের সবকিছুই খুব সুন্দর। এবার তুমি নিজের দিকে তাকাও – তোমার অন্তরের তুমিটিও খুব সুন্দর, যদিও কোনো কোনো সময় আরও ভালো কিছু করতে পারো। তুমি খুব প্রেমময় ও সুন্দর এবং তোমার চারপাশের সবকিছুই তাই। এই সব কিছু দেখে তুমি খুব স্বস্তি ও সুখী অনুভব করছো।
৪র্থ ধাপ: এখন তোমার মনোযোগ ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনো, তোমার চোখ খোলো এবং যেহেতু ব্যায়াম শেষ হয়ে গেছে, টানটান হয়ে বসো। তোমার পাশের জনের দিকে তাকিয়ে একটু হাসো ও তাকে সময় ও তারিখটা বলো।
(নীরব উপবেশনের শারীরিক ব্যায়ামের পর ছাত্রছাত্রীরা হয়তো পরস্পরের সাথে কথা বলে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাইবে। এব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা উচিত, বিশেষত তাদের জিজ্ঞেস করা উচিত তারা কেমন অনুভব করলো। এটি কোনো সৃজনশীল কাজ করার আদর্শ সময়। উদাহরণ স্বরূপ তারা তাদের অভিজ্ঞতার কিছু ছবি এঁকে ফেলতে পারে।)
Adapted from ‘Sathya Sai Education in Human Values’, Published by BISSE Limited