দৃষ্টি – গাড়ী
দৃষ্টি – গাড়ী
গাড়ী :
আমার প্রিয় শিশুরা!
দেখ, কি সুন্দর গাড়ী! এবার তোমরা চোখ বন্ধ কর! গভীর শ্বাস নাও আর ত্যাগ কর!
গাড়ীটিকে ধোয়া হয়েছে,তাতে তেল দেওয়া হয়েছে, রং করা হয়েছে আর সুন্দর করে সেটিকে সাজানো হয়েছে। সেটি মসৃণ পথ ধরে তোমার দিকে এসে, আস্তে, আস্তে তোমার সামনে এসে থামল।ধীরে, ধীরে দরজা খুলে গেলে, তুমি তার ভিতর উঠে বসলে। এবার গাড়ীটা অনেক দূরের পথ পাড়ি দেবার জন্য তৈরী। গাড়ী রাস্তা দিয়ে চলতে শুরু করল। গাড়ীর ভিতরটা খুব সুন্দর। বসার আসনও খুব আরামদায়ক। এবার হেলান দিয়ে বসে, জানলা দিয়ে বাইরে দেখ। দেখ, গাছেরা সরে যাচ্ছে,অন্য গাড়ী চলে যাচ্ছে , চারিদিকে কত মজার দৃশ্য। কিন্ত মনে রেখ গাড়ীতে পেট্রোল/ডিজেল ভরা থাকলে তবেই গাড়ী গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।
বাবা বলেন, এই গাড়ীটির লম্বা যাত্রাপথের মতন মানুষকেও অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে হয়। আমরা কি আমাদের সেই যাত্রা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছি? আমাদের কাজ হল দেহরূপ গাড়ীটিতে নামস্মরণের পেট্রোল বা ডিজেল ভরে রাখা এবং ধর্মের পথ ধরে চলা। আমরা কেবল খাওয়া আর মজার জন্য চলা বন্ধ করব না।আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে।
সাই যখন সঙ্গে আছেন, তখন ভয় কিসের? এবার ধীরে, ধীরে চোখ খোল।
প্রশ্ন:
১) আমাদের দেহ যদি গাড়ী হয়,তাহলে আমরা তাতে কি করে তেল ভরব?
২) কোন গাড়ী আমরা চড়ব না এবং কেন?
[সূত্র : সাইলেন্স টু সাই – লেন্স, হ্যান্ড বুক ফর চিল্ড্রেন, পেরেন্টস এন্ড টীচার্স – চিত্রা নারায়ণ এবং গায়েত্রী রামচর্ন সাম্বু, এম এস কে, এ ইন্সটিটিউট অফ সত্য সাই এডুকেশন, মরিশাস পাবলিকেশন]