ছায়া ম্যাচিং

Print Friendly, PDF & Email
ছায়া ম্যাচিং

( স্বাস্থ্যই সম্পদ )

এই খেলায় বাচ্চাদের বিভিন্ন ছবি দেওয়া হয় এবং ছবিতে যে বস্তুটি আছে তার সাথে সঠিক ছায়ার ছবির জোড় মেলাতে হবে।

উদ্দেস্য:

এই খেলাটি অবিশ্বাস্য রকম সহজ দেখালেও , বাচ্চাদের কিন্তু বস্তুর অবয়বের ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখাতে হবে কারণ বস্তুটির ছায়াতে কিন্তু কোন খুঁটিনাটি থাকে না । এই খেলাটি নিবিড় মনোযোগ দাবী করে আর চাক্ষুস বিচারবুদ্ধির দক্ষতা বাচ্চাদের মধ্যে শানিয়ে নেই।

এই খেলাটিতে স্বাস্থ্যই সম্পদ , কিছু ফলের ছবি একটি সারিতে আর সেই ফলের ছায়ার ছবি আর একটি সারিতে দেওয়া হয়। বাচ্চাদেরসঠিক ছায়ার সাথে সঠিক ফলের ছবি মেলাতে হবে।

প্রাসঙ্গিক মূল্যবোধ :
  • অনুসন্ধানের মনোভাব
  • পর্যবেক্ষণ
  • কৌতূহল
  • জোর দেওয়া
  • বিচারবুদ্ধি
প্রয়োজনীয় সামগ্রী :

ফল ও তার ছায়ার ছবির কাতা টুকরো।

গুরুদের প্রস্তুতি:

গুরুদের ফল ও তার ছায়ার ছবি কেটে রাখতে হবে।

কি ভাবে খেলবে

গুরু এই ছায়ার খেলাটি তুলে ধরবেন বাচ্চাদের নিজের ছায়াকে পর্যবেক্ষণ করানোর মাধ্যমে।

  1. গুরু ক্লাসটিকে দুটি দলে ভাগ করবেন ।
  2. প্রত্যেকটি দলে পাঁচটি ফলের ছবি ও পাঁচটি ফলের ছায়ার ছবি দেওয়া হবে।
  3. বাচ্চাদের সঠিক ফলের সঠিক ছায়া খুঁজে মেলাতে হবে।
  4. যে দল আগে মেলাতে পারবে সেই দল বিজয়ী।
আরো শেখানোর জন্য গুরুদের পরামর্শ :
  • খেলার শেষে , গুরুদের সাত্বিক আহারের গুরুত্ব বোঝাতে হবে যেমন ফল, সবজি ইত্যাদি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো ।
  • গুরু বুঝিয়ে বলবেন – দৈনিক একটি আপেল খেলে ডাক্তারের প্রয়োজন হয় না।
  • গুরু বাবার বাণী বুঝিয়ে বলবেন – যেমন আহার তেমন মস্তিষ্ক । সাত্বিক আহার সাত্বিক ধারণার জন্ম দেয়।
  • গুরু বাচ্চাদের সূর্য দেবতার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে বলবেন। যখন সূর্যের বিপরীতে দাঁরাই তখন আমাদের ছায়ার সৃষ্টি হয় যা আনেক সময় আমাদের কাছে ভয়ের কারণ হয় । কিন্তু সূর্যের সামনাসামনি দাঁড়ালে ছায়ার সৃষ্টি হয় না। তাই সঠিক কাজ হল আমাদের প্রিয় স্বামীর ( ভগবান) দিকে সরাসরি তাকিয়ে থাকা ।
বৈচিত্র্য :
  1. ফল ও সব্জির উল্টো ছায়ার চিত্র মেলানো।
  2. জীবজন্তু ও ফুলের ছায়া মেলানো।
ছায়া সম্বন্ধে স্বামীর মতামত :

“ ছায়া হল জাগতিক মায়ার প্রতীক । যখন আমরা সূর্যের দিকে ঘুরে এগোতে থাকি তখন আমাদের ছায়া পেছনে পরে । কিন্তু যত তুমি মায়াকে অনুসরণ করবে ( সূর্যের দিকে পিছন ফিরে হাটবে ) মাধব দৃষ্টির অগোচরে চলে যাবে”। – বাবা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: