সাউন্ড অফ মিউজিক

Print Friendly, PDF & Email
সাউন্ড অফ মিউজিক
উদ্দেশ্য :

যন্ত্র সঙ্গীতের একটি বিশ্বজনীন আবেদন আছে , যা ভাষা ও প্রদেশের সীমা অতিক্রম করে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আমাদের শরীর ও মনের ওপর সঙ্গীতের এক গভীর প্রভাব আছে । মনকে শান্ত করতে ও মেজাজ ঠিক করার জন্য সঙ্গীত থেরাপির ব্যবহার করা হয়।

ভারতবর্ষে সঙ্গীত , বিশেষত যন্ত্র সঙ্গীতের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার যোগ রয়েছে কারণ ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী বেশীর ভাগ হিন্দু দেবদেবীর সঙ্গে কোন না কোন বাদ্যযন্ত্র যুক্ত আছে ।

দেবদেবীর মূর্তির সাথে বাচ্চারা পরিচিত যেহেতু বালবিকাশ ক্লাসে শেখানো হয় । সাউন্ড অফ মিউজিক একটি আকর্ষণীয় খেলা যা দেবদেবীর মূর্তির সাথে বাদ্যযন্ত্রের সংযোগ / যোগ দেখিয়ে দেয়।

প্রাসঙ্গিক মূল্যবোধ :
  • পর্যবেক্ষণ
  • স্মৃতিশক্তি
  • বিচারবুদ্ধি
প্রয়োজনীয় সামগ্রী :

বাজানোর জন্য সঙ্গীত ।

গুরুর প্রস্তুতি:

গুরুকে অডিও ঠিক করে রাখতে হবে যার মাধ্যমে ছ’টি বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গীত রেকর্ড করা থাকবে ।

  • শিব – ডমরু
  • কৃষ্ণ – বাঁশি
  • সরস্বতী – বীণা
  • নারদ – করতাল
  • নন্দী – মৃদঙ্গ
কি ভাবে খেলবে
  1. বাচ্চারা জোড়ায় জোড়ায় বসবে ।
  2. গুরু তাদের হাতে কোন না কোন বাদ্যযন্ত্রের নাম / ছবির চিরকূট দেবেন ।
  3. গুরু সেই যন্ত্রের শব্দ মিউজিক সিস্টেম/ মোবাইল ফোনে বাজাবেন ( যেমন – ডমরু )
  4. বাচ্চাদের সেই বাদ্যযন্ত্রের সাথে যুক্ত দেবদেবীর নাম চিহ্নিত করতে হবে – সূত্রের সাহায্যে ।
    ( যেমন – ডমরুর আওয়াজ ) উত্তর – ভগবান শিব
  5. এই ভাবে , তাদের বাকি দেবদেবীর রূপের নাম বলতে হবে বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজের মাধ্যমে ।
  6. প্রত্যেক সঠিক উত্তরের সাথে নম্বর আছে ।
  7. যে জুটি যত বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
  8. খেলাটি একটু চ্যালেঞ্জিং করার জন্য বিকল্প স্বরূপ বাচ্চাদের কাছে কোন সূত্র না দেওয়া ( যেমন বাদ্যযন্ত্রের ছবি)। তারা শুধুমাত্র বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ শুনে কোন দেবদেবী সেটি বাজায় চিহ্নিত করবে ।
বৈচিত্র :

দেবদেবীর সাথে তাদের স্ত্রী, বাহন অথবা মন্দিরের জোড় মেলানো ।

গুরুর জন্য পরামর্শ:

বাচ্চাদের শিক্ষা আরো বেশী কার্যকরী করার জন্য নিম্নলিখিত ভাবনা গুলি কাজে লাগানো ।

  1. শব্দের কম্পনের / তরঙ্গের গুরুত্ব – নাদব্রহ্ম ।
  2. বাদ্যযন্ত্রের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য – বাঁশি ফাঁপা ও অহংকার বিহীন , শঙ্খ – পবিত্র অনুষ্ঠানে অথবা যুদ্ধ শুরুর আগে বাজানো হয় ।
  3. শঙ্খের নাম – কৃষ্ণ – পঞ্চজন্য , অর্জুন – দেবদত্তা
  4. বাদ্যযন্ত্রের বিভাগ –( স্ট্রিং যন্ত্র , হাওয়া যন্ত্র , পরকর্শন )
  5. ভজনে বাদ্য যন্ত্রের ব্যবহার মনটাকে ভাল করে দেয় ।
  6. যন্ত্র শিল্পীদের নাম ( হরি প্রসাদ চউরাসিয়া প্রভৃতি )
  7. সমবেত আলোচনা ক্লাসটিকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য যাতে বাচ্চারা দেবদেবীর সাথে বাদ্য যন্ত্রের মিল দেখাতে অনায়াসে সক্ষম হয় ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।