১) পরীক্ষা মূলক শিক্ষণ স্বয়ং কোন পড়ানোর বিষয়বস্তু নয়। বরং এটি একটি পদ্ধতি যার দ্বারা কোন পাঠক্রম কে শিশুদের কাছে তুলে ধরা হয়।
২) তাই এটি কোনো সুনির্দিষ্ট জ্ঞানের পরিসরে আবদ্ধ বিষয়বস্তু নয় ।
৩) কোনো একটি অনুশীলনী পাঠের জন্য যা জানার প্রয়োজন , তা পূর্ব নির্ধারিত হতে পারে না । প্রথমে শিশুরাই তাদের পূর্ব-পাঠের অভিজ্ঞতা এবং ধারণা থেকে পাঠ্যের বিষয় কি হবে তা বলতে পারে ।
৪) কোন বিষয়-ভিত্তিক কার্যকলাপে শিশুদের যোগদান যত বেশি হবে , সেই পাঠক্রমের বিষয়বস্তু তত বিস্তৃত ও গভীর হবে।
৫) তাই পরীক্ষা-মূলক শিক্ষা একটি গতিশীল ও সৃষ্টিশীল শিক্ষণ পদ্ধতি।
৬) প্রকৃতপক্ষে এটি একটি অনুসন্ধান মূলক পদ্ধতি যা সামাজিক দক্ষতা , অনুমান ক্ষমতা এবং সৃজনশীল মানসিকতার উপর ভর করে অগ্রসর হয়।
৭) এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকমের দক্ষতার নানান তথ্য , ব্যাখ্যা ও যোগাযোগের দ্বারা পারস্পরিক বোঝাপড়ার গুরুত্ব প্রকাশ পায়।
৮) দলগত ভাবে ( গ্রুপে) কাজ করার সামর্থ্য , বিভিন্ন মতামত ও প্রস্তাব আদানপ্রদান , অপরকে সম্মান করা , বাস্তব পরিস্থিতিকে মেনে নেওয়া, দায়িত্ব গ্রহণ করতে শেখা – এই সব গুণাবলী সযত্নে লালিত হওয়ার মাধ্যমে এক মূল্যবোধের মানসিকতা ও শিক্ষা দৃঢ়ভাবে বিকাশ লাভ করে ।