গাছ
গাছ
ছোট শিশুরা! চোখ বন্ধ করে বল,” হু আর হা”। তিনবার এইটি বল। এখন তোমরা তরতাজা হয়ে উঠেছ। কল্পনা কর যে তোমরা একটি বাগানে পৌঁছে গেছ। দেখ তোমাদের চারিদিকে কত সুন্দর ফুল, সুন্দর প্রজাপতি। তোমাদের ঘিরে যেন সবুজের সমারোহ। এস! এই বিশাল গাছটির তলায় কিছুক্ষণ বসা যাক।
এই শক্ত গাছটির শিকড়গুলির দিকে লক্ষ্য কর, কেমন বড় আর মোটা। শিকড়গুলি গাছটিকে জল আর খনিজ পদার্থ সরবরাহ করে। এবার ডালগুলির দিকে দেখ। সেগুলি পাতায়, ফুলে, ফলে ভরে আছে। গাছটির ছায়া আমাদের সূর্যের খরতাপ থেকে রক্ষা করছে। পাখীরা ডালে বাসা বেঁধেছে। তারা আনন্দে কিচিরমিচির করছে। বাতাসে গাছের পাতাগুলি নৃত্য করছে।দেখ গাছের থেকে কত ফল মাটিতে পড়েছে। পাখিরা আর কাঠবিড়ালিরা মনের আনন্দে সেগুলি খাচ্ছে। গাছটির যত শক্তি ততই সে বিনয়ী। এস আমরা গাছটিকে জড়িয়ে ধরে আদর করি। ও আমাদের সবচেয়ে ভাল বন্ধু।
গাছটিকে দেখে আমাদেরও অন্তর ‘ভালবাসা ‘ দিয়ে ভরে তোলা উচিত। গাছ কেটে কাগজ, পেন্সিল ইত্যাদি জিনিষ তৈরী হয়।ছাত্র হিসেবে পৃথিবীকে রক্ষা করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল যতটুকু প্রয়োজন ততটাই কাগজ ও পেন্সিল ব্যবহার করা এবং কোনোভাবেই অপচয় না করা। আমরা সব গাছপালা ,সকল প্রাণী এবং সমগ্র পৃথিবীর কাছে আমাদের ভালবাসা পাঠালাম।
এবার আমরা ক্লাসে ফিরে এলাম। নিজেদের জায়গায় বসে ধীরে, ধীরে চোখ খুলব।
গাছ, পশুপাখী,মানুষ সকলকেই খাদ্য দেয়। আমাদের গাছের মতন হতে হবে, নিঃস্বার্থ ভাবে সকলের সেবা করতে হবে।
কাজ:
গুরু শিশুদের গাছের ছবি আঁকতে বলতে পারেন।
[উত্স : Early Steps to Self Discovery Step – 2, Institute of Sathya Sai Education (India), Dharmakshetra, Mumbai.]