অসতো মা শ্লোক – কার্যক্রম

Print Friendly, PDF & Email
অসতো মা শ্লোক – কার্যক্রম

‘অন্ততপক্ষে একটি কুঅভ্যাস ত্যাগ করো’ ছিন্নকথা থেকে এই গল্পটি শিশুদের বলতে হবে ও তাদের এটি অভিনয় ক’রে দেখাতে হবে।

অন্ততপক্ষে একটি কুঅভ্যাস ত্যাগ করো

একবার এক অসাধু ব্যক্তি, আধ্যাত্মিক জীবনে যাত্রা শুরু করবে ব’লে এক গুরুজীর কাছে গেল। গুরুজী তাকে তাঁর কুঅভ্যাস গুলির মধ্যে যেকোন একটি ত্যাগ করতে বললেন। সে মিথ্যে কথা বলা ছেড়ে দিল। সেই রাতে যখন সে এক রাজবাড়িতে চুরি করতে গেল, সেখানে অপর আরেক জনের সাথে তার দেখা হ’ল যে ছিল এক চোর। তারা রাজকোষ ভেঙে যে হীরে পেল, তা তারা নিজেদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ ক’রে নিল। ‌সেই অপর ব্যক্তি ছিলেন আর কেউ নন, রাজা স্বয়ং।‌

রাজা চোরের বেশে বললেন যে তিনি জানেন কোথায় সিন্দুকের চাবি আছে। হীরে ভাগ ক’রে নেবার সময় সেই চোর, রাজার জন্য দুঃখ অনুভব করল এই ভেবে যে রাজা তার ধন দৌলতের সমস্ত অংশই হারিয়ে ফেললেন। সে তার সঙ্গীকে একটি হীরে রাজকোষে রেখে দিতে বললো ও তাই হ’ল। পরের দিন সকালে দেখা গেল যে রাজকোষ লুট করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ জিনতে রাজা (আগের রাতে যিনি চোরের বেশে ধারণ করেছিলেন) মন্ত্রীকে পাঠালেন। মন্ত্রী একটি হীরে পেল যেটা চোরেদের চোখে পড়েনি। সে দ্রুত সেটি পকেটে ঢোকালো ও বললো যে সব হীরে চুরি হয়ে গেছে।

আগের রাতে হীরে ভাগাভাগির সময় রাজা সেই সৎ চোরের ঠিকানা জেনেছিলেন। সেইমত তাকে ডাক পাঠালে বিচারালয়ে রাজিউর সামনে সে বলে যে সে এবং তার সঙ্গী একটি ছাড়া সব হীরে চুরি ‌করেছিল। সেই একটি হীরে মন্ত্রীর পকেটে পাওয়া যায় ও মিথ্যে কথা বলার জন্য রাজা তাকে বরখাস্ত করেন। সেই সৎ চোর মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়। সে তার অন্যান্য কুঅভ্যাস গুলো ত্যাগ করে ও একজন ‌ গুণী প্রশাসক হিসেবে খ্যাতি অর্জন‌ ক’রে তার গুরুকে সন্তুষ্ট করে।

সংক্ষেপ:

যখন‌ সেই চোর মিথ্যে বলা ছেড়ে দেয়, সে সত্যের পথে যাত্রা শুরু করে। অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা শুরু করায় তার জীবন সুখ শান্তিতে ভরে ওঠে। এর ফলে সে যাবতীয় কুঅভ্যাস ত্যাগ করে যা তাকে একজন ভালো মানুষে রূপান্তরিত করে। তার গুণাবলীর জন্য সে বহু বছর ধরে স্মরণীয় হয়ে ছিল। আমরা যখন সৎ অভ্যাস ও গুণাবলীর পথ অবলম্বন করি, তখন আমরা অমরত্ব প্রাপ্ত হই, কারণ মানুষ আমাদের চিরদিনের জন্য মনে রাখে।

এই কার্যক্রম অন্যান্য ‌মূল্যবোধ গুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যখন আমরা কোন সৎ অভ্যাস অনুশীলন শুরু করি, অন্যান্য গুণাবলীও তা অনুসরণ করে ও আমরা অমরত্ব প্রাপ্ত হই। উদাহরণ- মহাত্মা গান্ধী, আ্যালবার্ট আইনস্টাইন, আব্দুল কালাম প্রমুখ।

আলোচনা:

শিশুদের একমাসের জন্য মিথ্যা কথা বলা ত্যাগ করার জন্য বলতে হবে ও প্রত্যেক ক্লাসে আলোচনা করতে হবে যে এটি কতটা সহজ/ কঠিন ও এর উপকার কী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।