জল
জল
প্রিয় মিষ্টি শিশুরা,
তোমাদের হাত ওপরে তোল আর নামাও। এবার হাসিমুখে ঈশ্বরের সৃষ্টির তারিফ কর।
প্রকৃতির পঞ্চভূতের, একটি হল জল। সেটি ঈশ্বরের সৃষ্টি। তার চারটি গুণ আছে। এগুলি হল শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস। গতিশীলতাই এর ধর্ম। এর কাছে থেকে আমরা শিখব যে কখনো আলস্য করতে নেই। সর্বদাই কিছু কাজ করা উচিত। এমন কাজ যা অন্যকে সাহায্য করবে এবং মেলবন্ধন তৈরী করবে।
চোখ বন্ধ করে নিজের দিনটি কল্পনা কর। সকালে উঠে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে কলঘরে গিয়ে দাঁত মেজেছ। দুধ খেয়ে জলের সাহায্যে স্নান করেছ। তোমার মা জলে কাপড় কেচেছেন। জল দিয়ে কাজের মাসী বাসন ধুয়েছেন। তোমার বাবা গাছে জল দিয়ে, জল দিয়ে হাত পা ধুয়েছেন। তোমরা সবাই জলখাবার খেয়েছ, যা তৈরী করতে জল লাগে।
প্রিয় শিশু! জল ছাড়া আমরা এই পৃথিবীতে বাঁচতে পারবনা। আমাদের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য ঈশ্বর জল সৃষ্টি করেছেন। তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। জল আমাদের নষ্ট করা উচিত নয়।আমরা প্রতিটি জলের বিন্দু সংরক্ষণ করব। এমন অপূর্ব উপহারের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দাও। ধীরে, ধীরে নিজের মধ্যে ফিরে এস। এই লাইনগুলো বল।
জল, জল, জল
ঈশ্বর তোমার স্রষ্টা।
তুমি সকলের জীবনে মাধুর্য্য নিয়ে আস।
শপথ করছি তোমায় আমি সর্বদা নির্মল রাখব।
ক্লাসের আলোচনা:
বেঁচে থাকার পথ –জলের থেকে শেখা
আমরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে জল ব্যবহার করে থাকি। তেষ্টা মেটাতে, জিনিষ ধোয়ার জন্য, গাছের বৃদ্ধির জন্য ইত্যাদি। কোন জলপ্রপাত বা নদী দেখলে আমাদের মন ভাল হয়ে যায়। আমাদেরও জলের মতন হওয়া উচিত। নির্মল ও কোমল। অন্যকে বড় হতে সাহায্য করব, যেখানে যাব সেখানে খুশী ছড়াব।
প্রশ্ন:
১। জলের রঙ কী?
২। জলের আকার কী?
৩। জলের কার্যকারিতা কী, কী?
[রেফারেন্স: ‘সাইলেন্স টু সাই- লেন্স’- হ্যান্ড বুক ফর চিল্ড্রেন, পেরেন্টস এ্যান্ড টিচারস্’-লেখক চিত্রা নারায়ণ এবং গায়েত্রী রামচরন সাম্বু এম এস কে,– এ ইন্সটিটিউট অফ সত্য সাই এডুকেশন – মরিসাশ পাবলিকেশনস]