মানুষের বিরাটত্ব তার উদ্যমে
একদিন সন্ধ্যের দিকে চারজন ছেলে একটা মাঠে খেলা করছিল। মাঠের একটা কোণে এলে, তারা শুনতে পেলে যে, মাটির নীচ থেকে একটা ক্ষীণ স্বর ভেসে আসছে, “আমাকে খুঁড়ে বার করে নাও, তোমরা যা চাইবে আমি তাই দেবো।
কিছুক্ষণ মাটি খোঁড়ার পর ছেলেরা একটা ছোট, ঝকঝকে প্রদীপ দেখতে পেল। প্রদীপ বললে,”আমি আলাদীনের প্রদীপ। আমার নাম শোনেনি? তোমরা যা চাইবে আমি তাই দিতে পারি। এখন বলতো তোমরা কে কি চাও?” প্রথমে একজন ছেলে বললো,”আমি খেলা করতে ভালবাসি। আমাকে একটা ক্রিকেট ব্যাট, বল, উইকেট দাও আর ঘরোয়া খেলার কিছু দাও। দ্বিতীয়জন বললেন, “আমার স্কুলের মাষ্টারমশাই প্রত্যহ আমাকে বাড়ীতে পড়ালেখার কাজ দেন। তুমি এসে আমার হয়ে করে দিয়ে যেও”। তৃতীয়জন বললেন, “কত লোক রাস্তায় ভিক্ষে করে বেড়ায়। তাদের সবাইকে দেবার মতন পর্যাপ্ত টাকা তুমি আমাকে দাও”।
শেষের ছেলেটির উত্তর একেবারে ভিন্ন ধরণের ছিল। সে বললো, “হে আশ্চর্য প্রদীপ, আমাদের কিছু দেবার আগে দয়া করে তুমি অদৃশ্য হয়ে যাও। ঈশ্বর আমাদের চোখ, কান, নাক, জিভ, হাত, পা সব দিয়েছেন যাতে আমরা বুদ্ধি করে, পরিশ্রম করে কাজ করতে পারি।আমরা নিজেদের আর অন্যদের সুখী করার জন্য এদের পুরোপুরি কাজে লাগাবো”। মানুষের বিরাটত্ব তার নিজের উদ্যমের মধ্যেই আছে। কেন আমরা তোমার কাছে ভিক্ষে করে ঈশ্বরের এই দান হারাবো?
শেষের ছেলেটির ইচ্ছাকেই আশ্চর্য প্রদীপ সব চাইতে বেশী পছন্দ করলো ও মুহূর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল!
প্রশ্ন :
- প্রথম তিনটি ছেলের চাওয়ার ভিতরে কি দোষ ছিল?
- আশ্চর্য প্রদীপ শেষের ছেলেটির উত্তর পছন্দ করলো কেন?
- মনে কর,আশ্চর্য প্রদীপ তোমার সামনেই আছে। তুমি তার কাছে কি চাইবে?