জাপানী ভূতত্ত্ববিদ
বাবা প্রায়ই বলে থাকেন, সকল নামই হল আমার, সকল রূপই হল আমার। সুতরাং তিনি সর্বত্র তার সন্তানদের আন্তরিক প্রার্থণায় সাড়া দিয়ে থাকেন, যদিও তারা সাইকে দেখেন নি কিংবা সাইয়ের নামই শোনেন নি।
এক জাপানী ভূতত্ত্ববিদ ভারতে এসেছিলেন এবং ব্যাঙ্গালোরে তার এক সহকর্মীর বাড়ীতে ভগবান শ্রী সত্য সাইবাবার ছবি দেখতে পান। ঐ বৈজ্ঞানিক সাইবাবাকে দেখতে এবং তার সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েন। তাই ঐ সাইভক্ত সহকর্মী তাকে হোয়াইট ফিল্ডের আশ্রমে নিয়ে যান। সেই সময়ে বাবা সেখানেই ছিলেন।
বাবা ঐ ভূতত্ত্ববিদকে ইন্টারভিউতে (interview) বা একান্তে সাক্ষাৎকারের জন্য অথবা আরও উপযুক্তভাবে বলতে গেলে, ইন্টারভিউ (interview) বা আন্তর দর্শণের জন্য ডেকেছিলেন। ঐ ভূতত্ত্ববিদকে বাবা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, সে যখন জন্মেছিলেন তখন নীল-শিশু ছিলেন এবং তার বাবাকে ডাক্তাররা বলেছিল যে সে বাঁচবে না। তখন পিতা তাকে নিয়ে প্রভু বুদ্ধের মন্দিরে নিয়ে যান এবং বুদ্ধের পায়ের কাছে শিশুটিকে শুইয়ে দিয়ে প্রার্থণা জানিয়েছিলেন। প্রভু, এ আপনারই শিশু, আপনার দিব্য ইচ্ছার উপরই বাঁচা বা না বাঁচা নির্ভর করছে।” তারপর তিনি শিশুটিকে বাড়ীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। একথা জানিয়ে ভগবান বাবা বলেছিলেন, “তারপর থেকেই আমি তোমায় দেখাশোনা করে আসছি।” এরপর তার জন্য বাবা একটি হৃৎপিন্ডের আকারের লকেট সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন। তিনি লকেটটি খুলে ভূতত্ত্ববিদকে দেখিয়ে ছিলেন। এটি ছিল তিন-প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট হৃৎপিন্ড! ঐ ভূতত্ত্ববিদ একেবারেই বিষ্ময়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন। তার গোপন বিষয়টি কি করে বাবা জানতে পারলেন? কারণ তার পিতা তাকে জানিয়েছিলেন যে, ডাক্তাররা বলেছেন যে তার হৃৎপিন্ডের তিনটি প্রকোষ্ঠ রয়েছে এবং তিনি এই কথা আর কাউকে জানান নি….আসলে এ কথাটি ছিল তার অত্যন্ত সযত্নে রক্ষিত সর্বাপেক্ষা গোপন বিষয়। ঐদিন হতে ভূতত্ত্ববিদ উপলব্ধি করতে পারলেন যে কোনও বিষয়ই ভগবানের কাছে লুকিয়ে রাখা যাবে না, তিনি হলেন সর্বব্যাপী, সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞ।
ঈশ্বরত্ব হল একটি সুতোর মত, যা ব্যক্তির গুটিগুলোকে একসঙ্গে ধরে রাখে এবং একমাত্র এই সুতোই প্রতিটি গুটির ভিতরটা জানতে পারে।