সাহস
১ম ধাপ: প্রথমে আরামদায়ক ভঙ্গিতে চেয়ারে বোসো অথবা মাটিতে সুখাসনে বোসো ।এব্যাপারে নিশ্চিত হও যে তোমার শিরদাঁড়া সোজা আছে ও মাথা উঁচু ও সোজা আছে ।একটা গভীর প্রশ্বাস গ্রহন করো ও নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শরীরকে শিথিল করো ।আরও একবার গভীর প্রশ্বাস নাও… আরোও একবার…
২য় ধাপ:পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় সম্পর্কে সচেতন হও: এই ঘরের বাতাসের গন্ধ আঘ্রান করো, তোমার মুখস্থিত জলের স্বাদ গ্রহণ করো, তোমার পায়ের পাতার নীচের মেঝের দৃঢ়তা অনুভব করো এবং তোমার ত্বকে বাতাসের স্পর্শ অনুভব করো। এখন তোমার চারপাশের বস্তু সমুহ থেকে তোমার দৃষ্টিকে সরিয়ে আনার জন্য চোখ বন্ধ করো এবং ঘরের শব্দগুলো শোনো। (এক থেকে দুই মিনিট থেমে থাকো) এবার ঘরের বাইরের শব্দগুলি শোনো। তোমার শ্রবণ শক্তিকে যতদূর পারো বিস্তৃত হতে দাও।
৩য় ধাপ:সেইসব অনুভূতি যা অপ্রীতিকর ও অস্বস্তিকর তা নিঃশ্বাসের সাথে বার করে দাও, – যেমন ভয়ের অনুভূতি, রাগের অনুভূতি, দুঃখের অনুভূতি। যেসব অনুভূতি তোমাকে মর্মাহত করে সেগুলো বিতাড়িত হতে দাও। শান্তি অনুভব করো ও নিজের প্রতি ও সকলের প্রতি প্রেমময় হও।
৪র্থ ধাপ: এখন তোমার মনোযোগ ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনো, তোমার চোখ খোলো ও যেহেতু ব্যায়াম শেষ হয়ে গেছে, টানটান হয়ে বসো। তোমার পাশের জনের দিকে তাকাও ও একটু হাসো ও তাকে তারিখ ও সময়টা বলো।
(এই নীরব উপবেশনের শারীরিক ব্যায়ামের পর ছাত্রছাত্রীরা হয়তো পরস্পরের সাথে কথা বলে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাইবে। এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা উচিত, বিশেষত তাদের জিজ্ঞেস করা উচিত তারা কিরকম অনুভব করলো। এটি কোনো সৃজনশীল কাজ করার আদর্শ সময়। উদাহরণ স্বরূপ তারা অভিজ্ঞতার কিছু ছবি এঁকে ফেলতে পারে।)
Adapted from ‘Sathya Sai Education in Human Values’, Published by BISSE Limited