শ্রী সত্য সাই বাবা বলেন যে, নীরবতার গভীরেই ঈশ্বরের কন্ঠস্বর শোনা যায়।
নীরবতার সময় আসলে নিজেকে নিজের অন্তরের সঙ্গে যুক্ত করার সময়। এর ফলে আমাদের আন্তর সত্তা সামনে আসে। আমরা ঈশ্বরকে আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক রূপে প্রতিষ্ঠা করি। আমরা যাতে আমাদের বুদ্ধির সাহায্যে নিজেদের মনের চন্চলতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি ও তাকে চালনা করতে পারি, তার জন্যই এই প্রচেষ্টা।
আমাদের চিন্তার মান উন্নত হলে আমাদের মনের মানও উন্নত হয়। ছোটদের ক্ষেত্রে মাত্র ১ বা ২ মিনিটের জন্য ‘নীরবতার সময়’ পালন দিয়ে শুরু করা উচিত। তারপর ক্রমে ক্রমে সময়টা বাড়ানো যেতে পারে। সবথেকে যেটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হল যে এটি বাড়ীতেও নিয়মিত ভাবে অভ্যাস করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করব যে, যারা নিয়মিত ভাবে ‘নীরবতার সময়’ অভ্যাস করছে তারা আগের থেকে অনেক চুপচাপ ও শান্ত হয়ে গেছে। ক্রমশঃ তাদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। নিজেদের কাজে তারা অনেক বেশী মন দিতে পারে।
‘নীরবতার সময়’ অভ্যাস ক্লাসের শুরুতে অথবা শেষেও করা যেতে পারে। সবটাই নির্ভর করবে বাচ্ছাদের বয়স ও তারা কতটা নিতে পারবে তার ওপর। পুরো ব্যাপারটার লক্ষ্য হল একদম স্থির হয়ে বসে শোনা, বিশেষ করে নিজেদের অন্তরের শব্দ ও অনুভূতির প্রতি মনোসংযোগ। উদাহরণ হিসাবে কয়েকটি মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘নীরবতার সময়’ এর অনুশীলনী দেওয়া হল।