বুদ্ধ জয়ন্তীর মূল উৎসব বুদ্ধ গয়াতে অনুষ্ঠিত হয়। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসে
ভগবান বুদ্ধকে সশ্রদ্ধ সন্মান জানাতে। এছাড়া মন্দির ও তার আশপাশ রঙিন পতাকা দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়।
ভোরের প্রার্থনা, বৌদ্ধ সাধুদের রঙিন শোভাযাত্রা, বিশাল মহার্ঘ্য দিয়ে পূজা, আর মিষ্টি ও খাবার বিতরণ করা হয়।
অন্যান্য জায়গায় প্রার্থনা, ধর্মীয় বক্তৃতা আর অবিরাম বৌদ্ধ শাস্ত্র পাঠে বৌদ্ধবিহার, ধর্মীয় সভাঘর ও বাড়ি অনুরণীত হয়। এই দিন বৌদ্ধরা স্নান করে শুধু সাদা পোশাক পরে। মানুষ বুদ্ধের মূর্তিতে ধূপকাঠি, ফুল, মোমবাতি আর ফল নিবেদন করে। তারা সারাদিন বুদ্ধের জীবন ও শিক্ষার ওপর দেওয়া বক্তৃতা শুনে কাটিয়ে দেয়।
বুদ্ধ গয়াতে, মহা বোধি মন্দির, উৎসবের সাজে সজ্জিত হয় রঙিন ফুল ও পতাকা দ্বারা। বোধি বৃক্ষের (যে বৃক্ষের নীচে বসে ভগবান বুদ্ধ নির্বাণ লাভ করেন।) নীচে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
নিউ দিল্লির জাতীয় জাদুঘরে রাখা বুদ্ধের নশ্বর দেহাবশেষ (যা বিশ্বাস করা হয় তাঁর অস্থি ও ভষ্ম) জনগণের দেখার জন্য বাইরে বার করা হয় বুদ্ধ পূর্ণিমাতে।
বুদ্ধ পূর্ণিমায়, বিভিন্ন জায়গায় জলসত্র করা হয় ও পশু পাখিদের সেবা করা হয়। বুদ্ধ জয়ন্তী একটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উত্তরণের উৎসব।
বৌদ্ধ কিংবদন্তি অনুযায়ী, বুদ্ধের স্ত্রী যশোধারা, তাঁর প্রথম শিষ্য আনন্দ, তাঁর সারথি চন্ন, আর তাঁর ঘোড়া কন্টক-যাতে চড়ে তিনি জীবনের কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রাজ্য ত্যাগ করে বেরিয়ে যান, সকলেই ওই পবিত্র বুদ্ধ জয়ন্তী বা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন জন্মগ্রহণ করেন।