অবতারের জন্মদিন
২৩শে নভেম্বররের প্রভাতে প্রশান্তি নিলয়ম জেগে ওঠে এই পুন্য দিনটিকে স্বাগত জানাতে। সমগ্র শহরটি উৎসবের সাজে সেজে ওঠে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ একত্রিত হয় অবতারের জন্মদিন পালন করার জন্য। ভগবান শ্রী সত্য সাই বাবার জন্মদিন সারা বিশ্বে প্রত্যেক বছর বিভিন্ন সেবা কাজ ও প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। উৎসব শুরু হয় দশ দিন আগে থেকে। ভক্তরা বড় কেক ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিয়ে আসে।
সকল কিছুর মধ্যেই ভগবানের বার্তা থাকে । সকলকে ভালোবাসো, সকলের সেবা করো আর আনন্দে থাকো, এই হল ভগবান বাবার জন্মদিনের বার্তা, ভক্তদের কাছে একটি দিব্য আহ্বান।
২৩শে নভেম্বর ১৯৯৭ সালে, ভগবান বাবা তাঁর দিব্য ভাষণে বলেন:
“স্বামী জন্মদিনের উৎসব পালনে আনন্দ পান না। যেহেতু, তোমরা সকলে এসেছ তোমাদের তৃপ্ত করতে আমি বাধ্য হই। আমি যা কিছু করি সবই তোমাদের জন্য। এই সত্যটা স্বীকার করো। আমার কারো প্রতি বিদ্বেষ নেই, আমার প্রতি ও কারো বিদ্বেষ নেই। সবাই আমার আর আমি সবার। প্রত্যেকের ধর্মের পথ মেনে চলা উচিত। সবার নিজেদের আধ্যাত্মিক সত্তা স্পষ্ট করা ও আধ্যাত্মিক সুখ অনুভব করা উচিৎ। যতক্ষণ না তোমরা আধ্যাত্মিক একাত্মতা অনুভব করছ ততক্ষণ তোমাদের ভক্তি মূলক কর্ম, যেমন ভজন, নাম স্মরণ আর প্রার্থনা করে যেতে হবে। ঠিক এই দিন থেকে আমাদের সংস্থা সম্প্রসারিত হবে এবং বিস্তার লাভ করবে। আমাদের ব্যক্তিগত ভেদাভেদ ভুলতে হবে এবং সমাজের কল্যাণ সাধন মাথায় রাখতে হবে। সমাজের কল্যাণ এই আমাদের কল্যাণ। যেই গ্রাম, রাজ্য বা দেশেই থাকি না কেন, আমাদের সেবাকাজে যোগদান করা উচিৎ।”
ভগবানের আশীর্বাদ নানা রূপে এসেছে, যেমন তিনি বস্ত্র, খেলনা, খাদ্য ইত্যাদি বন্টন করেছেন। তিনি তাঁর অননুকরণীয় কর্ম পন্থার মাধ্যমে তাঁর প্রেম ও আনন্দের বার্তা প্রচার করে গেছেন, যা আমাদের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ।