ভূমিকা
“ওকা ছিন্ন কথা” -এই তিনটি তেলুগু শব্দের সাহায্যে যার অর্থ, “একটি ছোট গল্প” তার দিব্যভাষণের গতিময় প্রবাহে ভগবান যখন ছেদ ঘটান, সকলের কর্ণযুগল সচকিত হয়ে যায়। সকলের অন্তর সজাগ হয়ে ওঠে। কারণ যে গল্পটির উপস্থাপনা হতে যাচ্ছে তা হ’ল একটি আলোর ঝলক যা উজ্জ্বল করে তোলে, এক পশলা বর্ষণ যা শীতল করে তোলে, এক রসিকতা যা পুলকিত করে তোলে, একটি ওষুধের বড়ি যা নিরাময় করে তোলে। “ছিন্ন কথা” শুধুমাত্র যদি আমরা এর প্রাসঙ্গিকতা মন দিয়ে ভাবি তবে দেখবো এটা ভগবানের শিক্ষাগত পদ্ধতিতে এক কার্যকরী সহায়ক। তার ভাষণদানকালে এইসকল নীতিগর্ভ রূপক কাহিনী ও গল্প সর্বদাই পাখির ঝাঁকের মত ডানায় ভর করে তাঁর ভালবাসার আকাশে ভেসে বেড়ায়। তাদের কয়েকটিকে ভগবান আমাদের অন্তরের উড়ে আসতে এবং বাসা বাঁধতে দেন যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সে গুলোকে যত্ন করে পোষণ করছি এবং আমাদের চিন্তা ও ব্যবহারিক জীবনের অঙ্গ করে তুলতে না পারছি।
[প্রসঙ্গ -প্রশান্তি নিলয়ম সংস্কৃতি, ১৪.০১.১৯৭৮ – প্রয়াত এন. কস্তুরী]
ভগবানের দিব্যভাষণকালে তাঁর বর্ণিত ছিন্ন কথাগুলি অনুপ্রেরণামূলক ও উন্নতি বিধায়ক। শিশুদের আকর্ষিত ও অনুপ্রাণিত করার জন্য যাতে তারা তাদের মধ্যে নিহিত উচ্চমানের নৈতিক ও সৎ জীবন যাপন করতে পারে সেজন্য এগুলোকে আমাদের বাল বিকাশের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই গল্পগুলো যে কোন ব্যক্তির মনে ও অন্তরে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। যাতে প্রত্যেকেই বুঝতে পারে ও অনুধাবন করতে পারে সেজন্য স্বামী তার দিব্যভাষণে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক সত্যকে ব্যাখ্যা করার জন্য এই সকল ছিন্ন কথাগুলি প্রায়ই বলতেন। নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধগুলোকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য বিভিন্ন ভাষণে ভগবান বর্ণিত কিছু কথা এইখানে এই অনুচ্ছেদে দেওয়া হল।
গুরু প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগের সাহায্য নিতে পারেন এবং বালবিকাশের ক্লাসে ছাত্র ছাত্রীদের বয়স ও বোধের সাথে সঠিক সঙ্গতি রেখে এই ধরনের আরো গল্প বলতে পারেন।