কিভাবে ক্লাসে এই কার্যকলাপ করতে?
১) নীরব উপবেশন দিয়ে শুরু — কোন প্রার্থনা , “গাইডেড ভিজুয়ালাইজেশন” অথবা অন্তত চোখ বন্ধ রেখে দু’মিনিট নীরব উপবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে এই কার্যক্রম। এটি স্থিরতা এনে মনোনিবেশ ঘটায়।
একটি নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিতে হবে — বিষয়টি হতে হবে একক শব্দের। বোর্ডের মাঝখানে লেখা থাকবে এই শব্দ। খেয়াল রাখতে হবে শব্দটি যেন শিশুদের বয়স উপযোগী হয় এবং সেটির ব্যাপারে যেন তাদের উৎসাহ ও স্বচ্ছ ধারণা থাকে। ভাবগত বা নির্বস্তুক কোন বিষয় বা শব্দ ,যেমন প্রেম ,শান্তি ,সততা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। বিষয়টি হতে হবে মূর্ত, যেমন ধরুন “রং”।
৩) এইবার, “রং” শব্দটির সম্বন্ধে ভাবলে শিশুদের মনে অন্য যে সমস্ত শব্দের উৎপত্তি হয় তারা তা নিজেরাই বলতে থাকবে। একে বলে “রেডিয়েন্ট থিংকিং”(Radiant Thinking)। তাদের তরফ থেকে আসা সমস্ত শব্দই বোর্ড অথবা তাদের খাতাতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। শব্দগুলি সাজানো বা গণনা করার কোন প্রয়োজন নেই। বিষয়টির সাথে সম্পর্কিত শব্দের এক স্বরগ্রাম সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে যে সমস্ত শব্দ অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হবে, গুরুর উচিত শিশুরা সেইগুলো কী ভেবে বলেছে তা নম্রভাবে তাদের কাছ থেকেই জেনে নেওয়া।
৪) এরপর মাইন্ড ম্যাপিং ও ওয়েব-চার্ট-এর মাধ্যমে শিশুরা সেই সমস্ত শব্দের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে শব্দগুলিকে শ্রেণীবিভক্ত করবে।
- আলাদা আলাদা ভাগে শব্দগুলি লিপিবদ্ধ করে শিশুরা সেই প্রত্যেকটি শ্রেণী বা ভাগের তাদের পছন্দমত একটি করে শিরোনাম দেবে।
- এরপর ক্লাসে শিশুদের উপস্থিতির হার অনুযায়ী তাদের নিয়ে একাধিক দল গঠন করতে হবে। এই একেকটি দলের কাজ হবে সেই সমস্ত শিরোনাম বা শ্রেণী গুলির উপর ভিত্তি করে একেকটি ওয়েব-চার্ট তৈরি করা।
৫) প্রত্যেকটি গ্রুপের নিজস্ব ওয়েব চার্ট বানানো হয়ে গেলে তা তারা সকলের সামনে উপস্থাপন করবে। সেই সকল উপস্থাপনা ও আলোচনার মাধ্যমে এবার সমস্ত ক্লাসের জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েব চার্ট নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তী স্তরে অগ্রসর হতে এই প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চূড়ান্ত ওয়েব চার্টটি এই রকম হবে
[Class activity steps: Adapted from Experiential Learning – by Dr. Pitre during ‘The Master Trainers’ Training program for GRI&II in January 2009 at P.N]