গ্রূপ ওয়ানের শিশুদের বালবিকাশ ক্লাসে স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক আলোচনার বিশেষ দিক-
- ঘুম- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম ও ভোরে তাড়াতাড়ি ওঠা এক স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যবান ও জ্ঞানী করে তোলে ।
- সঠিক পরিমাণ ঘুম আমাদের মনঃসংযোগে সাহায্য করে ।
- ভালো ঘুমের জন্য রাতে প্রার্থনা ।
- শরীরচর্চা- বাইরে ততটা সম্ভব খেলাধুলা করা ।
- কম্পিউটারে খেলা বা টিভি স্ক্রীনে দীর্ঘক্ষণ ধরে কোন কিছু দেখা চলবে না ।
- একজন ভালো প্রশিক্ষকের কাছে রোগের কিছু সাধারণ কৌশল শিখে নেওয়া ।
- স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যগ্রহণ ।
- মিষ্টি, চকলেট বা ঐ ধরণের পানীয় অতিমাত্রায় গ্রহণ করা যাবে না ।
- এর পরিবর্তে ফল, সবজি, দুধ বা ফলের রস খেতে হবে ।
- প্রাতরাশ বাদ দেওয়া যাবে না ।
- খাদ্যের অপচয় করা যাবে না ।
- খাবার ভালোমত চিবিয়ে খাওয়া প্রয়োজন ।
- খাবার সময় থালার চারিদিকে বা যেখানে সেখানে খাবার ছড়িয়ে ফেলা যাবে না ।
- খাবার সময় নীরব থাকতে হবে ।
- খাবার মুখে নিয়ে কথা বলা যাবে না ।
- খাবার সময় শব্দ করা এড়িয়ে চলতে হবে ।
- মুখ বন্ধ রেখে খেতে হবে ।
- খাবার আগে ভগবানকে নিবেদন ক’রে নিতে হবে তাতে তা প্রসাদ হয়ে যায় ।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিস্কার ও ফোটানো জল পান করতে হবে ।
- শরীরকে পরিস্কার রাখতে হবে । ‘ দেহ দেবালয়ম্’ অর্থাৎ শরীর হ’ল ভগবানের মন্দির ।
- প্রতিদিন স্নান করতে হবে । রোজ স্নান না করলে শরীরের বাইরের ময়লা ঘামের সাথে মিশে গিয়ে শরীরে জমবে যা চর্মরোগের কারণ হতে পারে । ফলে শরীর থেকে দুর্গন্ধ বেরোবে ও কেউ আমাদের সঙ্গ পছন্দ করবে না ।
- নখ- নিয়মিত নখ কাটা উচিত। নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখা উচিত।
- দাঁত দিয়ে নখ কাটা যাবে না।
- হাত ধোয়া- খাবার আগে ও পরে, শৌচাগার ব্যবহারের পর ও পশুপাখীর সংস্পর্শে আসলে ভালো ক’রে হাত ধুতে হবে।
- পায়ের যত্ন- জুতো ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না। বাইরে খেলাধুলা করলে ভালো ক’রে পা পরিষ্কার করে ধুতে হবে।
- সাবান ও জল দিয়ে পরিস্কার করে ধোয়া পোশাক পরতে হবে।
- অপরিষ্কার জামাকাপড় সাথে সাথেই ধোয়ার জন্য রেখে দিতে হবে।
- চোখের যত্ন- নিয়মিত পরিষ্কার ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে চোখের যত্ননিতে হবে।
- রাতে ঘুমোতে যাবার সময় চোখ ধুয়ে নেওয়া খুবই উপকারী কারণ তাতে চোখে জমে থাকা সারাদিনের ময়লা ধুয়ে যায়।
- চোখ মোছার জন্য সর্বদা পরিস্কার কাপড় ব্যবহার করা উচিত।
- চোখ মোছার জন্য কখনোই শাড়ী, ধুতি বা কাপড়ের খুঁট ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। এভাবেই জীবাণুর আক্রমণ হয়।
- প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদা কাপড় ব্যবহার করা উচিত চোখের জন্য। চোখে কোন রোগ হ’লে দুটি চোখের জন্য আলাদা কাপড় ব্যবহার করা উচিত।
- চোখের অসুখ হ’লে সাথে সাথেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কখনোই পথের ধারের বিক্রি হওয়া কোন যন্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে অবস্থা আরো খারাপ হ’তে পারে।
- সবুজ ও টাটকা শাক সবজি খাওয়া উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে ও চোখের পক্ষে এগুলি অত্যন্ত উপকারী।
- পড়াশোনার সময় যেসব শিশুদের মাথা বা চোখের সমস্যা হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের চশমা ব্যবহার করা উচিত।
- ঝালাই, কাঠ কাটা ও অন্যান্য কাজ যা চোখের পক্ষে হানিকর, তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
- গ্রহণের সময় সরাসরি উপযুক্ত পদ্ধতি না নিয়ে তীব্র আলোর দিকে তাকালে তা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
- চোখ লাল হ’লে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
- চোখের পক্ষে হানিকর কোন তীক্ষ্ণ বস্তু নিয়ে খেলা উচিত নয়।
- চোখ হ’ল ভগবানের উপহার। শুধুমাত্র যা ভালো তা-ই দেখবে ।
- কানের যত্ন-পিতা- মাতা স্নানের পর শুকনো কাপড় দিয়ে কান পরিষ্কার করবে ।
- কানে জীবাণু সংক্রমণ অতিরিক্ত ময়লা জমে থাকার ফলে হতে পারে । কোনপ্রকার যন্ত্রণা হ’লে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।
- কান হ’ল ভগবানের দান । যা কিছু ভালো, তা-ই শুনবে ।
- গলা ও নাকের সমস্যা যেমন গলা খুশখুশ, কফ, সর্দিকাশির ক্ষেত্রে গরম জলপান ও তা দিয়ে গার্গল করতে হবে ।
- গরম জলের বাষ্প গ্রহণও এইক্ষেত্রে খুব কার্যকর ।
- হাঁচি কাশির ক্ষেত্রে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে । তারপর সেই কাপড় ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয় ।
- গলা সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত ।