কুট্টন
নীলগিরি পাহাড়ের বিক্কাট্টি গ্রামে ‘কুট্টন’ নামে একটি খোঁড়া কুকুর ছিল। “কুট্টন” কথাটির অর্থ হল ‘খোঁড়া’। কুকুরটি খুবই বুড়ো ও প্রেমময় ছিল, সেই সঙ্গে অপরিচিতদের বেলায় খুবই সতর্ক থাকত।
ঐ গ্রামে বাবা একবার গিয়েছিলেন এবং তাঁর জন্য পেতে রাখা কার্পেটের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ‘কুট্টন’ কে বেঁধে রাখা হয়েছিল কারণ সে হয়ত হঠাৎ বাবার উপর লাফিয়ে উঠতে পারে। শেকল নিয়ে টানাটানি করে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় সে খুবই কষ্ট পাচ্ছিল। তার কাছে এসে পৌঁছুলে বাবা তার পিঠে হাত বুলিয়ে দিলেন এবং এই বলে শেকল খুলে তাকে ছেড়ে দিতে বললেন, “বাঙ্গারু! একে আপন মনে থাকতে দাও, এ হল পবিত্র আত্মা।” সুতরাং কুট্টন বাবার পেছন পেছন গিয়ে মঞ্চের উপর উঠে বসল এবং সারাক্ষণ ভজন শুনল এবং তারপর বাবার সঙ্গে রান্নাঘরে গেল, সেখানে বাবা খাবারের উপর আশীর্বাদ করে প্রসাদ করে দিলেন এবং কুট্টনকে সবার আগে খাবার পরিবেশন করতে বললেন। খাবার খাওয়া শেষ করে কুট্টন আবার সুসজ্জিত মঞ্চে উঠে বাবার চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রসাদের জন্য গ্রামবাসীর বিরাট লাইনের উপর নজর রাখছিল। কিছুক্ষণ পর বাবার চরণ রাখবার ছোট টুলটির উপর কুট্টন মাথা রেখে শুয়ে পড়ল এবং কয়েক মিনিটের ভিতর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল।
প্রত্যেকেই জানত যে কুট্টন ছিল এক পবিত্র আত্মা এবং তাকে ফুলে ঢাকা চাদরের ভিতর রেখে ঐ মঞ্চের পাশে সমাধি দেওয়া হয়েছিল।
[Source : Lessons from the Divine Life of Young Sai, Sri Sathya Sai Balvikas Group I, Sri Sathya Sai Education in Human Values Trust, Compiled by: Smt. Roshan Fanibunda]