নববর্ষ উদ্যাপন
পুট্টাপর্ত্তীতে প্রতিটি দিন বৈশিষ্ট্য পূর্ণ, কেননা হাজার হাজার ভক্তরা আসে তাদের প্রভু, ভগবান শ্রী সত্য সাই বাবার চরণে তাঁদের ভক্তিকে সমর্পণ করার জন্য। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু দিন অনন্যসাধারন হয়ে ওঠে, যখন বিভিন্ন বিশ্বাস ও সংস্কৃতির বহু বহু ভক্তরা সমবেত হয় এই ছোট্ট আধ্যাত্মিক, শান্তির আবাস, প্রশান্তি নিলয়মে তাদের বিশেষ দিনকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য। যেহেতু ভারতবর্ষ এবং বিশেষ সব জায়গায় বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসী ভক্তদের ভিড় হয়, সেজন্য প্রতিটি মাসই প্রশান্তি নিলয়ম আধ্যাত্মিক স্পন্দনে স্পন্দনশীল হয়ে ওঠে।
পুট্টাপর্ত্তীর উৎসব ক্যালেন্ডারে ‘নববর্ষ উদ্যাপন’ অন্তর্গত। এটা কেবলমাত্র প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন নয়, কিন্তু চৈনিক, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম এবং গুজরাটি নববর্ষও পালিত হয়।
ভক্তরা প্রভুর পাদপদ্মে তাদের প্রার্থনা ও অর্ঘ্য নিবেদন করার জন্য সমবেত হয়। এই বিশেষ দিনে ভগবানের দিব্য উপদেশ ভক্তদের সচেতন করে যাতে তারা ক্রমশ নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। ভক্তরা তাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে। যারা প্রত্যেকে ওখানে উপস্থিত থাকে তাদের এই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সভ্যতাকে ভালভাবে বোঝা এবং ঐ সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ানোর এ এক সুয়োগ।
যদিও সব উৎসব খুব আনন্দের সঙ্গে উদ্যাপিত হয়, স্বামী বলেন, “বছরের একটি দিনকে বেছে নিয়ে খুব আনন্দের সঙ্গে ঐ দিনকে উদ্যাপন হল বোকামী। কেননা প্রকৃত ভক্তের কাছে প্রতিটি দিনই উৎসবের দিন”। তাহলে নববর্ষ পালন বা যে কোনো উৎসব উদ্যাপনের সময় আমরা কি মনে রাখব?
১৩ ই এপ্রিল, ২০০২ সালে উগাদিতে (তেলেগু নববর্ষ) স্বামী যে ভাষণ প্রদান করেছিলেন, তাতে তিনি উৎসব উদ্যাপনের শ্রেষ্ঠ উপায় দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, “যখন আমরা সংকীর্ণ মানসিকতা এবং স্বার্থপরতাকে ত্যাগ করতে পারব তখনই আমরা উগাদি উৎসবের অন্তনির্হিত উদ্দেশ্য বুঝে উদ্যাপন করতে পারব। উগাদির দিনে, সকলে খুব সকালে উঠে পড়ে, পবিত্র স্নান করে, নুতন কাপড় পরে এবং সুস্বাদু মিষ্টির স্বাদ গ্রহণ করে, বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা ও নুতন বস্ত্র পরিধান সহজ। তারা বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতাতেই আগ্রহী এবং হৃদয় যা কুচিন্তা ও মন্দ অনুভুতিতে পরিপূর্ণ, তার পবিত্রতা সম্পর্কে সজাগ নয়। কিন্তু উৎসব উদ্যাপনের এটা উদ্দেশ্য নয়। হৃদয়ে পবিত্রতা রক্ষা, নিস্বার্থপরতা অভ্যাস ও মন্দ প্রবণতাকে ত্যাগের মাধ্যমেই উদার চরিত্র গড়ে ওঠা, যা কিনা প্রকৃত উগাদি উৎসব উদ্যাপনের সার্থকতা। যেদিন তোমরা মন্দগুণ ত্যাগ করবে , হৃদয়কে ভালবাসায় পূর্ণ করবে, ত্যাগ এর পথ অবলম্বন করবে, সেদিন হবে প্রকৃত উগাদি। তাহলে উগাদির দিনে আমরা কি করতে পারি? আজ থেকে আমরা আমাদের হৃদয়কে পবিত্র রাখার জন্য সচেষ্ট হব। সুতরাং আজকের এই পবিত্র দিনে, তোমরা হৃদয়কে প্রেমে পূর্ণ করো, প্রেম স্বরূপ হও এবং পবিত্র কাজে ব্রতী হও”।
VISHU CELEBRATIONS
TAMIL NEW YEAR CELEBRATIONS
CHINESE NEW YEAR