গীতাঞ্জলি
উদ্দেশ্য:
এটি একটি মজার খেলা যেটি ছাত্র ছাত্রীদের স্মৃতিশক্তিকে ক্ষুরধার করে এবং গীতার যে শ্লোকগুলি তারা শিখেছে সেগুলিকে আরেকবার ঝালিয়ে নেবার সুযোগ দেয়।
সম্পর্কিত মূল্যবোধগুলি:
- জানবার ইচ্ছা
- পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা
- একাগ্রতা
- স্মৃতি
- ধৈর্য
- ত্রুটিহীনতা
- আত্মসন্তোষ
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- সাদা বোর্ড
- রঙের কলম/ এবং স্কেচ
প্রস্তুতিপর্ব:
- এই খেলাটির জন্য গুরুকে ১০ টি গীতার শ্লোক নির্বাচন করতে হবে।
- তাঁকে তাসের মতন ২০ টি পিচবোর্ডের কার্ড তৈরী করতে হবে।
- এর মধ্যে ১০ টি হবে নীল রঙের আর ১০ টি হবে গোলাপি রঙের।
- নির্বাচিত শ্লোকগুলির প্রথম লাইন গুলি নীল কার্ডে লিখতে হবে।
- দ্বিতীয় লাইন গুলি গোলাপি কার্ডে লিখতে হবে।
- কার্ডগুলির উল্টোদিকে স্বামীর ছবি আটকাতে হবে।
- কার্ডগুলি রংচঙে ও আকর্ষণীয় হতে হবে। (অথবা স্বামীর পকেট ক্যালেন্ডারের উল্টোদিকে ১০ +১০, শ্লোকগুলি লেখা যেতে পারে)।
- এই সব কাজ হয়ে গেলে কার্ড গুলি প্রস্তুত।
কীভাবে খেলতে হবে
- গুরু ২০ টি কার্ড খুব ভালো করে মিশিয়ে নেবেন।
- এরপর তিনি রং নির্বিশেষে কার্ডগুলি ৪ টি সারিতে সাজাবেন। প্রতিটি সারিতে ৫ টি করে কার্ড থাকবে।
- কার্ডগুলি এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে লেখা দিকটি নিচে থাকে। অর্থাৎ লেখা দেখা যাবেনা।
- একবারে ৪ জন খেলতে পারে।
- প্রথমজন দুটি কার্ড তুলবে; একটি নীল, একটি গোলাপি। এরপর তাকে দেখতে হবে দুটি কার্ডের লেখা শ্লোকের লাইনগুলি মিলছে কিনা।
- যদি মিলে যায় তাহলে সে চেঁচিয়ে শ্লোকটি পড়বে এবং কার্ড দুটি নিজের কাছে রেখে দেবে। এছাড়া সে আরেকবার খেলার সুযোগ পাবে।
- যদি না মেলে তাহলে তাকে কার্ডগুলি অন্য সব বাচ্চাদের দেখিয়ে, যেখান থেকে সেগুলি তুলেছিল সেখানে রেখে দিতে হবে
- এইবার দ্বিতীয় জন খেলবে। এইভাবে স্মৃতি নির্ভর খেলাটি চলতে থাকবে যতক্ষণ না দুটি সেটের সব কার্ডগুলি মিলে যায়; অর্থাৎ খেলুড়েরা ১০ টি গীতার শ্লোক পুরোপুরি মিলিয়ে ফেলতে পারে।
বৈচিত্র্য:
- গীতার শ্লোক এবং তার অর্থ মেলাতে দেওয়া যেতে পারে।
- মেলানোর জন্য গীতার শ্লোকের প্রথম ও শেষ শব্দ দেওয়া যেতে পারে।
গুরুদের জন্য:
গুরু যে কয়েকটি ইচ্ছে গীতার শ্লোক দিতে পারেন; অবশ্যই তাঁকে সময় এবং ছাত্ররা কতটা কঠিন হলে খেলতে পারবে তার দিকে নজর রাখতে হবে।